প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো হলদিয়ার বাসুলিয়া বাসুলী মন্দিরের নীল ষষ্ঠীর পূজো।
গ্রাম বাংলায় ষষ্ঠী তিথিতে উর্বরা শক্তির দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করার রীতি প্রচলিত আছে। অশোক ষষ্ঠী বা শীতল ষষ্ঠী হল এমন কয়েকটি ষষ্ঠী পার্বণ। কিন্তু নীল ষষ্ঠীতে ষ…
প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো হলদিয়ার বাসুলিয়া বাসুলী মন্দিরের নীল ষষ্ঠীর পূজো।
গ্রাম বাংলায় ষষ্ঠী তিথিতে উর্বরা শক্তির দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করার রীতি প্রচলিত আছে। অশোক ষষ্ঠী বা শীতল ষষ্ঠী হল এমন কয়েকটি ষষ্ঠী পার্বণ। কিন্তু নীল ষষ্ঠীতে ষষ্ঠী দেবী নন, সন্তানের মঙ্গল কামনা করে মহাদেবের আরাধনা করা হয়ে থাকে। কেন নীল ষষ্ঠীতে শিবের পুজো করা হয়, তা জেনে নিন এখানে।প্রচলিত কাহিনি অনুসারে পিতা দক্ষের আয়োজিত যজ্ঞে স্বামী মহাদেবের অপমান সহ্য করতে না পেরে আগুনে আত্মাহূতি দিয়ে দেহত্যাগ করেছিলেন শিব-পত্নী সতী। তারপর নীলধ্বজ রাজার ঘরে নতুন জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। সেই জন্মে তাঁর নাম হয় নীলাবতী। এই কন্যার সঙ্গে শিবের বিয়ে দেন রাজা নীলধ্বজ। অর্থাত্ দেবী পার্বতীর আর এক নাম হল নীলাবতী। গ্রাম বাংলার প্রচলিত কাহিনি অনুসারে চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনেই বিয়ে হয়েছিল মহাদেব ও নীলাবতীর। সেই কারণে নীল ষষ্ঠী, চৈত্র সংক্রান্তি ও গাজন শিব দুর্গার বিয়ের উত্সব হিসেবে পালিত হয় আমাদের রাজ্যের অনেক জায়গায়। গাজনের সময় গ্রাম বাংলায় শিব ও পার্বতী সেজে ঘরে ঘরে ঘুরে ভিক্ষা সংগ্রহ করার ছবি দেখা যায়। তেমনি হলদিয়ার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত বাসুলিয়া গ্রামে বাসুলি মায়ের মন্দিরে নীল ষষ্ঠীতে বহু মানুষের সমাগম দেখা দেয় দূর-দূরান্ত থেকে হলদিয়ার বুকে চলে আসে জল ঢালার জন্য। মায়ের জাগ্রত রূপ এক অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছে। তেমনি বাবার মাথায় জল ঢালা তখন তার কিছুদিন আগেই বাবা পাতাল থেকে উঠে আসে শোনা যায়। এই পুজোটি আগে পারিবারিক পুজো ছিল ৩০০ বছর ধরে চলছে এই পুজো কিন্তু পরবর্তীকালে মায়ের জাগ্রত রূপ দেখে তা সার্বজনীন পুজো হিসেবে বাসুলিয়ায় এই পুজো হয়ে থাকে। হলদিয়ার বাসুলী মন্দিরে সব থেকে ঐতিহ্যপূর্ণ হলো কালী নাচ আট দিন ধরে চলে মেলা বহু মানুষের ভিড় এবং মনস্কামনা নিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে বছরের পর বছর। ৩০০ বছরের পুরনো এই পুজো এখন ঐতিহ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে হলদিয়াতে।
No comments