অবৈধ জুয়ার প্রতিবাদে গর্জে উঠলো এলাকার মানুষ! টেবিলের উপরে সারি সারি সাজানো লটারির টিকিট। পাশেই সাদা খাতায় ছক করা ঘর। খাতার নীচে চাপা দেওয়া বেশ কিছু ছোট ছোট টোকেন। দেখে মনে হবে লটারির টিকিট বিক্রি করছে ব্যবসায়ী। কিন্তু আসল খেলা …
অবৈধ জুয়ার প্রতিবাদে গর্জে উঠলো এলাকার মানুষ!
টেবিলের উপরে সারি সারি সাজানো লটারির টিকিট। পাশেই সাদা খাতায় ছক করা ঘর। খাতার নীচে চাপা দেওয়া বেশ কিছু ছোট ছোট টোকেন। দেখে মনে হবে লটারির টিকিট বিক্রি করছে ব্যবসায়ী। কিন্তু আসল খেলা চলছে তার পেছনে। লটারির টিকিটের আড়ালের পিছনে চলছে অবৈধ জুয়ার কারবার। কখনো লুকিয়ে চুরিয়ে, কখনো লটারির আড়ালে, কখনো বাঁশবাগানে, কোথাও কোথাও খালপাড়ে চলছে টাকা ওড়ানোর ওই খেলা। ভাগ্য পরিবর্তনের হাতছানি ও বিনা পরিশ্রমে টাকা উপার্জনের নেশায় সর্বস্থ খোয়াচ্ছেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানা এলাকাজুড়ে চলছে অবৈধ এই জুয়ার রমরমা কারবার। আর তাতে অভিযোগ উঠছে খোদ পুলিশ প্রশাসনের মদতেই বছরের পর বছর জুড়ে চলছে এই কারবার। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। এদিন মধ্য রাতে এগরা থানার রাসনে (পশ্চিম) খাল পাড়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ জুয়ার ঠেক ভাঙচুর চালায় স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, এগরা থানার পুলিশ প্রশাসনের মদতেই রমরমিয়ে চলছে এই জুয়ার কারবার। তাঁদের দাবি, এই জুয়া অবিলম্বে বন্ধ করুক প্রশাসন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "বহু এলাকায় চলছে এই জুয়ার কারবার। অথচ প্রশাসন কিছুই ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চাই অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। কিন্তু, এখন দেখার বিষয় যে, পুলিশ - প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন অবৈধ জুয়ার ঠেকের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, রাসন পশ্চিমে চম্পা নদীর খালপাড়ে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা নিত্যদিনই অবৈধ জুয়ার আসরে ভিড় জমাচ্ছেন। দিন দিন তা নেশায় পরিণতি হচ্ছে। আর নেশার ফাঁদে পড়ে খোয়াচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তা নিয়ে বাড়িতে অশান্তিও চলছে। গৃহীণীদের গচ্ছিত উপার্জনেও হাত পড়ছে। বাড়ির সদস্যদের ওপরে অত্যাচার বাড়ছে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মহিলারাই জুয়ার ঠেক ভাঙতে এগিয়ে আসছেন। এদিন এই একই অভিযোগ তুলে এগরার রাসন পশ্চিমের গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই বছরের পর বছর চলছে অবৈধ জুয়ার কারবার। অবিলম্বে তা বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। এখন দেখার বিষয় যে, পুলিশ-প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন- সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা।
No comments