আট কোটি ব্যয়ে নয়া জেটি কুকড়াহাটিতে, পরিদর্শনে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস!
হুগলি নদীর পাড়ে পরিবহণ দফতরের নয়া উদ্যোগ। প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক মানের নয়া জেটি নির্মাণ করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।…
আট কোটি ব্যয়ে নয়া জেটি কুকড়াহাটিতে, পরিদর্শনে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস!
হুগলি নদীর পাড়ে পরিবহণ দফতরের নয়া উদ্যোগ। প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক মানের নয়া জেটি নির্মাণ করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। "কুকড়াহাটি ঘাটে নির্মীয়মান গ্যাংওয়ে এবং পন্টূন জেঠি" ভিত্তি প্রস্তর হয়েছিল ২০২৪ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল এই ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নির্মীয়মাণ সেই জেটিঘাট পরিদর্শনে যান পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন। হলদিয়া থেকে কলকাতা যাওয়ার অন্যতম দ্রুত পথ হিসেবে বহু মানুষ বেছে নেন কুকুড়াহাটি-রায়চক ও কুকুড়াহাটি-ডায়মন্ড হারবার ফেরি সার্ভিসকে। তবে রায়চক এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে ভেসেল কুকুড়াহাটিতে আসায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় কুকুড়াহাটি জেটিঘাটে। একটি মাত্র জেটি থাকায় যাত্রী ওঠানামায় ব্যাপক সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহণ দফতরের কাছে কুকুড়াহাটিতে নতুন একটি জেটি তৈরির জন্য আবেদন জানান। তাতেই হলদিয়ার কুকুড়াহাটিতে শুরু করা হয়েছে অত্যাধুনিক মানে জেটি তৈরির কাজ। পরিবহণ দফতরের দাবি, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে জেটি তৈরির কাজ। মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে খুলে যাবে। পুরনো জেটি থেকে ডানদিকে কয়েক মিটার দূরেই তৈরি হয়েছে নতুন জেটি। সংযোগ রয়েছে পুরনোর সঙ্গে। নয়া এই জেটিতে থাকছে বিশ্রামের জায়গা, শৌচাগারও। নির্মীয়মাণ জেটির কাজের পাশাপাশি রায়চক-কুকুড়াহাটির মধ্যে রো-রো সার্ভিস চালুর জন্য জায়গাও পরিদর্শন করেন স্নেহাশিস। ছিলেন প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, বিভাগীয় সচিব, মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে কটাক্ষ করেছেন ভারতীয় মজদুর সংঘ রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি বলেন নতুন জেঠি নয় রো রো ভেসেল করার কথা ছিল সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকার পাশে একটি ইটভাটা সাথে কথা বলেই কাজ শুরু হয়েছিল এবং তার ভিত্তি প্রস্তর হয়েছিল রো রো ভেসেলের জন্য। এই রো রো ভেসেল করে হলদিয়া থেকে কলিকাতা খুব সহজে যানবাহন পারাপার হতে পারে। কিন্তু যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই সাধারণ মানুষকে অন্যভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
No comments