জাহাজ ভর্তি পণ্য খালাস না হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো বন্দরে
পণ্য খালাস ঘিরে ফের জট দেখা দিল হলদিয়া বন্দরে। যার জেরে বুধবার দিনরাত বন্দরের ৯ নম্বর বার্থে দাঁড়িয়ে থাকল পণ্য বোঝাই জাহাজ।গত কয়েক বছর ধরে হলদিয়া বন্দরে ফাইভ স্টার গ্রুপ অ…
জাহাজ ভর্তি পণ্য খালাস না হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো বন্দরে
পণ্য খালাস ঘিরে ফের জট দেখা দিল হলদিয়া বন্দরে। যার জেরে বুধবার দিনরাত বন্দরের ৯ নম্বর বার্থে দাঁড়িয়ে থাকল পণ্য বোঝাই জাহাজ।গত কয়েক বছর ধরে হলদিয়া বন্দরে ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি সংস্থার অধীনে প্রায় ৮০০ শ্রমিক কাজ করে করছিলেন। বন্দরের ভিতরের যে কোনও কাজের প্রয়োজনে ওই সংস্থা থেকে শ্রমিক নিতে হত। কিন্তু ২০২২ সালে ২০ জুলাই নতুন একটি সংস্থার অধীনে ওই ৮০০ শ্রমিক পুরনো সংস্থা ছেড়ে নতুন সংস্থাতে যোগ দেন। পুরনো সংস্থার দাবি, ওই ৮০০ জনের মধ্যে ৩৭ জন পুরনো সংস্থায় ফিরে আসেন। এখন ৯ নম্বর বার্থে পণ্য খালাসের বরাত পুরনো সংস্থা ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি পেয়েছে। ১৬ ই নভেম্বর বুধবার প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন ম্যাঙ্গানিজ বোঝাই একটি জাহাজ যখন ৯ নং বার্থে পৌঁছয়, তখন পুরনো সংস্থার কর্মীরাই পণ্য খালাস করতে যায়। অভিযোগ, তখন তাঁদের বাধা দেন নতুন সংস্থার কর্মীরা রিপ্লে একটি সংস্থা "অ্যারো"। দু'পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। বাধাদানকারী শ্রমিকদের দাবি, ওই সংস্থা বাইরে থেকে নতুন শ্রমিক এনে কাজ করতে চাইছে।
যদিও পুরনো সংস্থার কর্ণধার শেখ আসরফ আলি বললেন, “৯ নম্বর বার্থের পণ্য খালাসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সংস্থাকে বরাত দিয়েছেন। তিনি বলেন একটি জাহাজের পণ্য খালাস করতে ২৫ জন শ্রমিক প্রয়োজন। নতুন সংস্থা থেকে ৩৭ জন কর্মী বর্তমানে পুরনো সংস্থায় ফিরে এসেছেন। ওই কর্মরত শ্রমিকরা পণ্য খালাস করতে গিয়েছিলেন। নতুন সংস্থার শ্রমিকেরা বাধা দিয়েছেন। নতুন শ্রমিকের যে অভিযোগ করছেন, তা ভিত্তিহীন।”এ দিকে, ঝামেলার জেরে দিনভর ওই বার্থে পণ্য খালাস বন্ধ থাকে এবং জাহাজটিও দাঁড়িয়ে থাকে। দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন বন্দর আধিকারিকেরা। তবে আজ সকাল পর্যন্ত সমাধান মেলেনি। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে হলদিয়া বন্দরের আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এটেছেন ।বারবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। বিএমএস রাজ্যে সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন শাসকদলের আইএনটিটিইউসি শ্রমিক সংগঠন রয়েছেন বন্দরের ভিতরেই দুই শ্রমিকের লড়াই কেন সংগঠনের উদ্যোগে বসে মিটিয়ে নিতে পারছে না। তাহলে কি সংগঠনের নেতৃত্বরা কাজ বন্ধ রেখে হলদিয়াকে কলুষিত করতে চাইছে। না বন্দরের ঠিকাদার শ্রমিকের সঙ্গে আঁতাত করে বন্দরের কাজে ঢিলামি করছে। হলদিয়া বাঁচাও কমিটির ব্যানারে আজ হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে জহর টাওয়ারে হলদিয়ার মানুষজন যাবে। তাদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিতে। হলদিয়াকে নিয়ে কেন এত টালবাহানা সারা হলদিয়ার মানুষ এখন হলদিয়া বাচাও কমিটির ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন।
No comments