রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস
বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হলেন প্রাক্তন আইএএস ড. সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার ১৭ ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ড. সিভি আনন্দ বোস-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে…
রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস
বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হলেন প্রাক্তন আইএএস ড. সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার ১৭ ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ড. সিভি আনন্দ বোস-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মেঘালয় সরকারের মুখ্য পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে মুহূর্ত থেকে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন সেই মুহূর্ত থেকেই তিনি পূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন।
১৯৭৭ সালে আইএএসে যোগ দেন সিভি আনন্দ বোস। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। শিক্ষা, বন, পরিবেশের মতো দফতরের প্রধান সচিবের পাশাপাশি জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রেভিনিউ বোর্ডেরও দায়িত্ব সামলেছেন। লেখালেখিরও অভ্যাস রয়েছে বাংলার নতুন রাজ্যপালের। ইংরাজি, হিন্দির পাশাপাশি মালয়ালমে ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখেছেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর লেখা বেশ কিছু বই বেস্ট সেলারও হয়েছে।
নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণার খবরে বিজেপি শিবির যথেষ্ট খুশী। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে জানান, “নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়েছে এর জন্য আমরা খুশি। কারণ, বাংলায় প্রায়শই সাংবিধানিক সংকট হয়ে যায়। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক প্রধান। তিনি কোথায় কি করবেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। রাজ্যের মানুষ রাজ্যপালের কাছে যায় দুর্বিষহ পরিস্থিতি হলে। এখানে বিজেপির বাইরে আরও বিরোধী দল রয়েছে। রাজ্য সরকার কোনও সংবিধান বিরোধী কাজ করলে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়”।
তবে নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণার সাথে সাথেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে ঘুরেফিরে আসছে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম। নানান ইস্যুতে ধনখড়ের কাছে ছুটে যেতেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। তিনিও নানান বিবৃতি দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে নিজের মতামত পোষণ করেছেন বারেবারে। যার জেরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের দূরত্ব বাড়ে কয়েকগুণ। পরবর্তী কালে ধনখড় চলে গেলে মনিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকে বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
No comments