Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৩৬ ঘণ্টা পর হলদিয়া বন্দরে শুরু হল পণ্য খালাসের কাজ

৩৬ ঘণ্টা পর হলদিয়া বন্দরে শুরু হল পণ্য খালাসের কাজ
 বৃহস্পতিবার ১৭ ই নভেম্বর দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্ধে  নাগাদ হলদিয়া বন্দরের ৯ নম্বর বার্থে (পূর্বতন ৮ নম্বর বার্থ) কাজ চালু হল। বুধবার ১৬ ই নভেম্বর সকালে ওই বার্থে নোঙর করা জাহ…

 




 ৩৬ ঘণ্টা পর হলদিয়া বন্দরে শুরু হল পণ্য খালাসের কাজ


 বৃহস্পতিবার ১৭ ই নভেম্বর দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্ধে  নাগাদ হলদিয়া বন্দরের ৯ নম্বর বার্থে (পূর্বতন ৮ নম্বর বার্থ) কাজ চালু হল। বুধবার ১৬ ই নভেম্বর সকালে ওই বার্থে নোঙর করা জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর এদিন সন্ধেয় ফের পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ‘আলমেরিয়া' নামে ২৬ হাজার টন ম্যাঙ্গানিজ বোঝাই একটি করছে সবাই। জাহাজ মঙ্গলবার রাতে এসে ওই বার্থে নোঙর করে। পরদিন সকালে ওই বার্থে পণ্য খালাসের জন্য বন্দরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকরা যান। সেই সময় অন্য একটি শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকরা কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। জাহাজের কাজে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে দুই ঠিকাদার সংস্থার ঝামেলায় বন্ধ হয়ে যায় পণ্য খালাসের কাজ।

৯ নম্বর বার্থে বন্দরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলদিয়ার (ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি)ওই শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার সংস্থার দাবি, তাদের ওই বার্থে জাহাজের কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের বরাত দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাহাজের ক্রেন অপারেশন সহ পণ্য খালাস সব কাজের দায়িত্ব তাদের। প্রায় দু'বছর ধরে তারা ওই কাজ করছে। গত ১ নভেম্বর ওই বার্থে কাজের জন্য তাদের চুক্তির মেয়াদ আরও দু'মাসের জন্য বাড়িয়ে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

ওই চুক্তিতে ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি তাদের নিজেদের শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। সেইমতো তারা কাজ করতে গেলে (রিপ্লে কোম্পানির অ্যারো)  অন্য সংস্থার শ্রমিকরা বাধা দেন। তাকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত। অন্য শ্রমিক সরবরাহকারী সংস্থার দাবি, ৯ নম্বর বার্থের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি ‘নিজেদের শ্রমিক' বলে বন্দরকে যে তথ্য দিচ্ছে তা সঠিক নয়। ওরা কার্গোপুল থেকে শ্রমিক ভাড়া নিয়ে কাজ করছিল। ফলে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ দু'দিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করে জট ছাড়ানোর পর কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য ঠিকাদার সংস্থাগুলির শ্রমিকদের যথেচ্ছ পাশ ইস্যু করা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবকেই দায়ী

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া সমাধান সূত্র মেনে আপাতত কাজে রাজি হয়েছে দুই ঠিকাদার সংস্থা। শ্রমিক সরবরাহ করা হবে ৩: ১ অনুপাতে। অর্থাৎ কার্গোপুল নিয়ন্ত্রণকারী ঠিকাদার সংস্থা দেবে তিনজন শ্রমিক, অন্যদিকে ১০ নম্বর বার্থের কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা দেবে ১ জন শ্রমিক। বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর দুই সংস্থার মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শনিবারও শ্রমিক সরবরাহে ঠিক একই ধরনের জটিলতায় দু'দিন কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একসময় হলদিয়ার শ্রমিক সরবরাহকারী ওই ঠিকাদার সংস্থা কার্গোপুলের শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ করত। গত জুন মাসে নতুন টেন্ডারের ফলে কার্গোপুল অন্য সংস্থার হাতে চলে যায়। বন্দরে এভাবে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হলে এজেন্সির ক্ষতি প্রতিদিন ১৫ লক্ষ টাকা। বন্দর ব্যবহারকারীদের বক্তব্য, এভাবে দিনের পর দিন জাহাজ এসে দাঁড়িয়ে থাকলে লক্ষ লক্ষ টাকা গুনাগার দিতে হয়। তাঁরা বন্দর কর্তৃপক্ষের দক্ষতা ও দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

No comments