Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ঋষি সুনাক। ইংরেজদের দেশ এবার শাসন করবেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতই।

ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ঋষি সুনাক। ইংরেজদের দেশ এবার শাসন করবেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতই।
বরিস জনসন ওয়াক ওভার দিয়েছিলেন আগেই। সোমবার শেষ মুহূর্তে দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন পেনি মরডান্ট। ব্যস, ইতিহাস সৃষ্টি হল টেমসের তীর…

  


ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ঋষি সুনাক। ইংরেজদের দেশ এবার শাসন করবেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতই।


বরিস জনসন ওয়াক ওভার দিয়েছিলেন আগেই। সোমবার শেষ মুহূর্তে দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন পেনি মরডান্ট। ব্যস, ইতিহাস সৃষ্টি হল টেমসের তীরে! দীপাবলির রাতে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ঋষি সুনাক। ইংরেজদের দেশ এবার শাসন করবেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতই। ইতিহাসে যা প্রথম। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের ইতিহাসে এই প্রথম দেশ চালাবেন এক অভিবাসী সন্তান। লিজ ট্রাসের ইস্তফার পর থেকে সুনাকের নাম ছিল চর্চায়। সেই জল্পনাই সত্যি হল। আজ, মঙ্গলবার ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখবেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাই। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়ে তাঁর পণ, ‘অর্থনীতির ভোল ফেরাবই। এটাই আমার অগ্রাধিকার।’ সুনাককে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছেন, ‘রোডম্যাপ ২০৩০ বাস্তবায়নে আমরা একযোগে কাজ করব।’

গত সেপ্টেম্বর মাসেই ‘বর্তমান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনাক জানিয়েছিলেন, ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ব্রিটেন। এক্ষেত্রে বর্ণ কিংবা সম্প্রদায় কোনও বাধা হবে না।’ সেকথাকে সত্যি করেই এদিন কনজারভেটিভ পার্টির অর্ধেকের বেশি এমপির সমর্থন পেয়ে নেতা নির্বাচিত হন ৪২ বছর বয়সি সুনাক। তিনিই দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষী রইল রাজা তৃতীয় চার্লসের দেশ।

পার্টিগেট কাণ্ডে জেরবার বরিস জনসন সরকার থেকে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সুনাক পদত্যাগ করতেই পড়ে যায় ‘বোজো’ গভর্নমেন্ট। শুরু নয়া প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ। মাত্র সাত সপ্তাহ আগেই সেই লড়াইতে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কিন্তু, শেষ হাসি হাসলেন তিনিই। অর্থনীতির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইস্তফা দেন ট্রাস। তারপর থেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে পাল্লা ভারী ছিল সুনাকেরই। রবিবার দৌড় থেকে সরে যান জনসন। কিন্তু মসনদে বসার জন্য কনজারভেটিভ পার্টির ১০০ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন ছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর। সোমবার দলের অর্ধেকের বেশি এমপি সুনাককে সমর্থন দেন। তারপরেই লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মরডান্ট। ১৯২২ কমিটির প্রধান স্যর গ্রাহাম ব্র্যাডি দলনেতা হিসেবে সুনাকের নাম ঘোষণা করেন। নয়া প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম চ্যালেঞ্জ দলের এমপিদের একজোট করা। কারণ, দু’বছর বাদে সাধারণ নির্বাচন। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি, জাতীয় ঋণ, জীবনযাত্রার খরচ ও বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে আনা। আর শেষ চ্যালেঞ্জ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি। ঝুলে থাকা বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন। আজ, মঙ্গলবার রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন সুনাক। তারপরই শুরু হবে সরকার গঠনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি।

 

No comments