Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সমুদ্রদানব দৈত্যকার উঠে আসতেই জনতার ঢল!:

সমুদ্রদানব দৈত্যকার উঠে আসতেই জনতার ঢল!:  ৩০ ফুটের দৈত্যাকার হাঙ্গর! ৫০ কুইন্টালের ‘সমুদ্রদানব’ উঠে আসতেই উৎসুক জনতার ঢল।ওড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার ভোগরাই ব্লকের তালসারী সমুদ্রতটে বুধবার গভীর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে তৈরি হয় চাঞ্চল্য…

 

সমুদ্রদানব দৈত্যকার উঠে আসতেই জনতার ঢল!: 

 ৩০ ফুটের দৈত্যাকার হাঙ্গর! ৫০ কুইন্টালের ‘সমুদ্রদানব’ উঠে আসতেই উৎসুক জনতার ঢল।ওড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার ভোগরাই ব্লকের তালসারী সমুদ্রতটে বুধবার গভীর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে তীরে উঠে আসে এক বিশাল হাঙ্গর—দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩০ ফুট এবং ওজনে ৫০ কুইন্টালেরও বেশি! এমন দৈত্যাকার হাঙ্গর তালসারী অঞ্চলে এর আগে প্রায় দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

মৎস্যজীবীদের কথায়, পাঁচ জন জেলে ভুটুভুটি নিয়ে উপকূল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে মাছ ধরতে গেলে জালে আটকে যায় এই বিশাল ‘সমুদ্রদানব’। প্রথমে দূর থেকেই তারা বোঝেন কিছু একটা অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক জালে ধরা পড়েছে। পরে হাঙ্গরটিকে জালে তুলতেই তারা অবাক—ওজন এতই বেশি যে নৌকায় ও জালে ভারসাম্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

তীরে টানার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু বিপুল ওজনের কারণে ভুটুভুটিতে বেঁধে উপকূলে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। খবর পেয়ে শতাধিক স্থানীয় মানুষ ঘটনাস্থলে এসে টানাটানি শুরু করেন। একসঙ্গে বহু হাত লাগিয়েও হাঙ্গরটিকে বালিয়াড়িতে তোলা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত রাতের জোয়ার চড়তেই ঢেউয়ের সাহায্যে তীরে উঠে আসে দৈত্যাকার মাছটি।

ভোর হতেই তালসারীর সৈকতে উপচে পড়ে ভিড়। পর্যটক ও স্থানীয়রা ছুটে এসে মোবাইলে ছবি, ভিডিও তুলতে শুরু করেন। এত বড় হাঙ্গর সামনে দেখে অনেকেই হতবাক, কেউ আবার ভয়ে-শিউরে ওঠেন। মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দৃশ্যটি।

পরে বনদফতরের আধিকারিকরা পৌঁছে হাঙ্গরটির প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সম্ভবত অত্যন্ত বিরল প্রজাতির হাঙ্গর, যাদের সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। কী কারণে এটি উপকূলের এত কাছে চলে এল এবং কীভাবে জালে আটকে পড়ল—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তালসারীর সমুদ্রতট এখন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসনও।

প্রকৃতির এই বিরল দৃশ্য—যা বহু বছর ধরে মনে রাখবে তালসারী উপকূলবাসী।

No comments