পরিকল্পনাহীন ভাবে চলছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল? বললেন হলদিয়ার ভূমিপুত্র প্রদীপ!শিল্পাঞ্চল এলাকায় বন্দরের সাথে বহু অনুসারী শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। বন্দরের রয়েছে নিজস্ব জায়গা, বাকি জায়গা রয়েছে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির। ব…
পরিকল্পনাহীন ভাবে চলছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল? বললেন হলদিয়ার ভূমিপুত্র প্রদীপ!
শিল্পাঞ্চল এলাকায় বন্দরের সাথে বহু অনুসারী শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। বন্দরের রয়েছে নিজস্ব জায়গা, বাকি জায়গা রয়েছে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির। বহু জায়গা অধিগ্রহণ করে রেখেছেন। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ল্যান্ড ব্যাংক রয়েছে শিল্পপতিরা আসবে নতুনভাবে শিল্প গঠন করবে যে সকল শিল্প রয়েছে সেগুলো সম্প্রসারণ হবে আর তার জন্য রাস্তা যথাযথ ভালো রাখার দায়িত্ব শিল্পাঞ্চলে এলাকার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকারের। জাতীয় সড়ক ১১৬ রানিচক পর্যন্ত রয়েছে এবং তারপরেই বন্দরের প্রবেশপথ। কিন্তু বাকি জায়গা পড়ে রয়েছে ধান্যঘাটা তেঁতুলবেড়িয়া কিসমত শিব রামনগর এবং সালুকখালী সহ বিভিন্ন এলাকা। ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় নতুন শিল্প তৈরি হয়েছে। লিংক রোড জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়কের সঙ্গে মিশে দু'ধারেই তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কারখানা এবং তারপরে একদম হুগলি নদী বরাবর সিএসসি মিৎসুবিশি সহ বিভিন্ন কারখানা রয়েছে। হলদিয়া বন্দরে বন্দর টু জেঠি যেতে হলে এই রাস্তা সবথেকে সুগম। তারই সাথেই গড়ে উঠেছে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল ধানসারি লালবাবা এপিসিএল, বিপিসিএল যেকোনো সময় তাদের কারখানা সম্প্রসারণ হতে পারে তার জন্য তাদের যথোপযুক্ত জায়গাও রয়েছে। ১৯৯৬ সালে ধান্যঘাটা তেঁতুলবেড়িয়া সহ বেশ কয়েকটি মৌজা অধিগ্রহণ হয়েছিল পেট্রো কেমিক্যাল তৈরি করার জন্য। সেই সময়কাল উন্নয়ন পর্ষদে যারা ছিলেন তারা ভেবেছিলেন এই লিংক রোডটা খুবই প্রয়োজন সেই জন্য রাস্তা বানানো হয়েছিল নতুন করে এবং শিল্প কলকারখানার অন্য সামগ্রিক এই পথ থেকে যাতায়াত হবে আর সেই জন্য টোল ট্যাক্স বসানোর পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তন হলো ২০১১ সালের পর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ বিভিন্ন সময় রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি করেছেন কিন্তু তারা কখনোই ভাবেননি যে এই লিঙ্ক রোড হলদিয়া বন্দর বা হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকার হৃৎপিণ্ড। এই রাস্তা থেকে সমস্ত কারখানার পন্য সামগ্রী যাতায়াত করে তারই সাথে কোন সময় কারখানা সম্প্রসারণ হলে তাদের যন্ত্রাংশ এই পথ থেকে যাতায়াত করবে। সে কথা মাথায় না রেখেই বিপিসিএল কারখানাকে অনুমতি দেওয়া হলো রাস্তার উপর থেকে অভার পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই সময়কালে বিরোধী রাজনৈতিক দল তারা প্রতিবাদও করেছিলেন বলে সূত্রে জানা যায়। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার কর্ণপাত করেননি বি পি এস সি এল কারখানাকে তাদের অনুমতি দিয়েছিল তাই লিংক রোডের উপর থেকে তাদের ওভার পাইপলাইন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যাল কেন্দ্র সরকারের নীতির জন্য দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে ছিল। বহু যুবকের রক্তের বিনিময়ে যেমন বক্কেশ্বর এবং তারপরে হয়েছিল হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যাল ।এই কারখানার শিলান্যাস কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে হলদিয়া হেলিপ্যাড ময়দানে হয়েছিল। সেই সময়কালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু তারপর থেকেই ধীরে ধীরে পাল্টে যায় বিভিন্ন কলকারখানার চিত্র। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যালস ফেনল প্রজেক্ট হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা তাদের একটি যন্ত্রাংশ প্রজেক্ট নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাকে কেটে বিপিসিএল এর পাইপ লাইনের কে বাঁচানোর জন্য একদিকে যানজট পদ অবরোধ তারপর রাস্তাটাকে কেটে পাঠানো হলো। তাহলে আগামী দিনে বিভিন্ন কলকারখানা রয়েছে ওই রাস্তার ধারে এবং শিল্পের প্রবেশ মূলত এই পথ তাহলে প্রতিবারেই কি রাস্তা কাটা হবে কোন যন্ত্রাংশ ঢোকানোর জন্য। প্রসঙ্গত,গুজরাটের দাহেজ থেকে হলদিয়া এসেছে বিশাল আকৃতির অক্সিডাইজার । প্রায় ৪০ মিটার লম্বা,৮.১৪ মিটার চওড়া এবং ৮.৪৫ মিটার উঁচু পরিসর বিশিষ্ট ৩৪৬.৬ মেট্রিক টনের এই অক্সিডাইজার হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের ফেনল প্ল্যান্টের(এইচপিএল) জন্য ব্যবহৃত হবে । মঙ্গলবার ৮ ই অক্টোবর রাতে হলদিয়া বন্দর থেকে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় । ৫৫০০ কোটি টাকা খরচে নির্মীয়মান ফেনল এবং অ্যাসেটোন প্ল্যান্ট,২০২৬ সালে উৎপাদন শুরু করবে । অক্সিডাইজারটি ফেনল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় রিঅ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে । বাধা সাজে বিপিসিএল কারখানার অভার পাইপ লাইন প্রশাসন ওই এলাকার 8 ই অক্টোবর সন্ধ্যা থেকেই তাদের তৎপরতা শুরু করে বড় বড় ক্রেন, প্রকলেন হাইড্রা দিয়ে রাস্তা কেটে ওই অক্সিডাইজারটি পেট্রো কেমিক্যালসের উদ্দেশ্যে পার করে। রাস্তা অনেকটাই ডিপ করে কাটা হয়েছে তাহলে কি রাস্তা এভাবেই থাকবে আগামী দিনের জন্য না বিপিসিএল পাইপলাইন ঘোরানো হবে আগামী হলদিয়া ভবিষ্যতের জন্য সেটাই এখন বড় প্রশ্ন? এই বিষয়ে কি বললেন হলদিয়ার ভূমিপুত্র প্রদীপ বিজলী।
No comments