২৫তম বর্ষে দিশারী, লক্ষ্মী পুজোয় মেতেছে নতুন প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে!দুর্যোগের বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্প শহর হলদিয়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ডিঃঘাসীপুর লক্ষী গ্রামের লক্ষ্মীপুজোয় মেতে উঠেছে । দশমীর রাত থেকেই আকাশের মুখ ভার …
২৫তম বর্ষে দিশারী, লক্ষ্মী পুজোয় মেতেছে নতুন প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে!
দুর্যোগের বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্প শহর হলদিয়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ডিঃঘাসীপুর লক্ষী গ্রামের লক্ষ্মীপুজোয় মেতে উঠেছে । দশমীর রাত থেকেই আকাশের মুখ ভার । দফায় দফায় বৃষ্টির দাপট । তার মধ্যে লক্ষ্মী পুজো প্যান্ডেল তৈরির কাজ চালিয়ে গেছেন পুজো কর্তারা । ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতিমা মণ্ডপে এনেছেন। ৯ অক্টোবর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে পুজোর উদ্বোধন হয় । ডিঘাসীপুর দিশারী ২৫ বছরের পুজো পদার্পণ করেছেন। সাবি কিআনা মৃন্ময়ী মূর্তি এবং সাবেকিয়ানা মণ্ডপ আলোর রোজায় ভরে উঠেছে পূজো মণ্ডপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিত্য এবং সংগীত পরিবেশন মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চারা গাছ বিতরণ দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পোশাক পড়াশুনোর সামগ্রী প্রদান এগুলি ছিল পুজোর অঙ্গ। এছাড়া এলাকার প্রতিভা অন্বেষণের জন্য গ্রামের ছেলে মেযদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পুজো মণ্ডপ যেন ছিল চাঁদের হাট। আজ থেকে তিন দিন চলবে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্কৃতিক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। মন্ডপের আনুষ্ঠানিক ফিতা কেঁটে উদ্বোধন করেন হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও রাজ্য কাবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজগর আলি (পল্টু) এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অ্যাডভোকেট গোপাল দাস এবং গ্রাম কমিটির সম্পাদক নারায়ন প্রধান সভাপতি স্বপন হাজরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ডিঘাসীপুর গ্রামে প্রায় ছয় খানা লক্ষ্মীপূজো সুদৃশ্য মণ্ডপ এবং প্রতিমা এবং কৃষ্ণনগরের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে। গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই মেতে উঠেছে মা লক্ষ্মীর আরাধনায়। মহিলা কমিটির সদস্য সুস্মিতা মহাপা মাহাতো এবং অনিমা মাইতি মহিলা সদস্যদের নিয়ে পূজোর সামলাচ্ছেন। কোজাগরি পূর্ণিমায় পুজো না করে ৯ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার এই পুজো করছেন কেন । পুজো কমিটি সদস্য অনিতেশ মহাপা, এবং মিলন মাহাতো বলেন কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার দিন প্রত্যেকের বাড়িতেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় সকলেই মেতে উঠেন । সেজন্যই আমরা ওই দিনকে বাদ দিয়ে আমাদের এই এলাকায় যতগুলি পুজো হয় তা কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার পরে যে বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর পূজো হয়। বহুদূরান্ত থেকে আমাদের গ্রামের পুজো মণ্ডপ এবং প্রতিমা দেখার জন্য বহু দর্শক আসেন। ভবানীপুর থানা পুলিশ প্রশাসন এবং গ্রাম কমিটি এবং পুজো কমিটির সকল সদস্যরা এই এলাকায় পাহারাদার হিসেবে তারা থাকেন, যাতে পুজোর সময় গ্রামে কোন অঘট না ঘটে সেদিকেই সজাগ দৃষ্টি রাখেন । উপস্থিত রয়েছেন ভবানীপুর থানার পুলিশ সিভিক পুলিশ। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য শান্তনু মাইতি বলেন ভবানীপুর থানার পুলিশ তদারকি করছেন যাতে দুরু দুরন্ত থেকে যেসকল দর্শনার্থীরা আসেন যাতে কোন রকমের অসুবিধা না হয়।
No comments