Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৩০ শতাংশ লাভের টোপ, ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যুবক!

৩০ শতাংশ লাভের টোপ, ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার যুবক!শেয়ার মার্কেটে লোভনীয় অফারের টোপ দিয়েছিল সাইবার অপরাধীরা। সেবি রেজিস্টার্ড সংস্থা বলে পরিচয় দিয়ে ৩০ শতাংশ মুনাফার লোভ দেখানো হয়েছিল। তাতেই উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলেন হলদিয়ার ভবানীপ…

 



 ৩০ শতাংশ লাভের টোপ, ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার যুবক!

শেয়ার মার্কেটে লোভনীয় অফারের টোপ দিয়েছিল সাইবার অপরাধীরা। সেবি রেজিস্টার্ড সংস্থা বলে পরিচয় দিয়ে ৩০ শতাংশ মুনাফার লোভ দেখানো হয়েছিল। তাতেই উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলেন হলদিয়ার ভবানীপুরের নিবেদিতা নগরের বাসিন্দা পুষ্পেন্দু গিরি। শুরুতে বিনিয়োগ করে ৬৬ হাজার টাকা তুলেও ছিলেন। তারপর টেলিগ্রাম গ্রুপে তাঁকে আরও বেশি লাভের জন্য লাগাতার উৎসাহ জোগানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন পুষ্পেন্দুবাবু। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই শনিবার তমলুক সাইবার ক্রাইম থানায় এনিয়ে এফআইআর করেছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, ভবানীপুর থানার নিবেদিতা নগরের ওই যুবক হলদিয়া বন্দরে চাকরি করেন। শেয়ার মার্কেটে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত জুলাই মাসে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। সেখানে সেবি রেজিস্টার্ড সংস্থায় ইনভেস্ট করলে ভালো মুনাফার টোপ ছিল। তাতে ওই যুবক আকৃষ্ট হন। তিনি আগ্রহ দেখাতেই একটি অ্যাপ পাঠানো হয়। সেটি ইনস্টল করার পর তাঁকে টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর শেয়ার কিনতে শুরু করেন পুষ্পেন্দুবাবু।

শুরুতে তিনি ৬৬ হাজার টাকা পান। তারপর আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। সেইমতো ধারাবাহিকভাবে তিনি শেয়ার কিনে যান। একটা সময় ওই যুবকের অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষ টাকা দেখায়। কিন্তু, সেই টাকা কোনও অবস্থায় তুলতে পারছিলেন না। ওই টাকা তোলার জন্য ১০শতাংশ ট্যাক্স এবং ১০শতাংশ প্রফিট আগাম চাওয়া হয়। আগাম ২০শতাংশ না দিলে কোনওভাবেই টাকা তোলা যাবে না বলে তাঁকে জানানো হয়। এরপরই পুষ্পেন্দুবাবুর সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। 

তারপর ১৮ অক্টোবর তমলুকে সাইবার ক্রাইম থানায় এফআইআর করেন। প্রতারিত যুবক বলেন, আমি আগেও শেয়ার মার্কেটিং করেছি। প্রতারক ওই সংস্থা নিয়েও কোনও সন্দেহ ছিল না। শুরুতে ৬৬ হাজার টাকা তুলেছি। তারপরই প্রতারণার জালে জড়িয়ে যাই। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তমলুক সাইবার ক্রা‌ইম থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।

শেয়ার ট্রেডিংয়ে লোভনীয় রোজগারের টোপ দিয়ে সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে পরপর বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। হলদিয়ার বৃন্দাবনচকের আরাধ্যা অ্যাপার্টমেন্টের এক যুবক শেয়ার ট্রেডিংয়ে মোটা আয়ের লোভে ৪৩ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। ৩৫০টি অ্যাকাউন্টে ওই টাকা সরিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। হলদিয়া থানায় এনিয়ে এফআইআর হয়েছে। এছাড়া, শেয়ার মার্কেটে মোটা আয়ের টোপ দিয়ে সাইবার অপরাধীরা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের এক গৃহবধূর কাছ থেকে ১কোটি ৪লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তমলুক থানায় এনিয়ে এফআইআর হয়েছে। টাকার অঙ্ক দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ অফিসারদের।

No comments