Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পুজোর ৪দিন পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি!

পুজোর ৪দিন পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি! অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেল ,এবার পুজোর চারদিনে পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ১৭ হাজার ১৯৮টাকার মদ বিক্রি হল। ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী থেকে ১ মহানবমী পর্যন্ত ওই টাকার মদ…

 


পুজোর ৪দিন পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি!

 অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেল ,এবার পুজোর চারদিনে পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ১৭ হাজার ১৯৮টাকার মদ বিক্রি হল। ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী থেকে ১ মহানবমী পর্যন্ত ওই টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। মাত্র চারদিনে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৫০৯লিটার দেশি মদ বিক্রি হয়েছে। বিলাতি মদ বিক্রি হয়েছে ২ লক্ষ ২ হাজার লিটার ৬৫৫লিটার। এছাড়া, বিয়ার বিক্রি হয়েছে আরও ২লক্ষ ৮৪হাজার ২০৫লিটার। জেলার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৯২টি দোকানে চারদিনে ওই বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি তাতে উপার্জন হয়েছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। গড়ে প্রতিদিন বিক্রির পরিমাণ ৮কোটি ৪৬লক্ষ টাকা। এতে আবগাবির দপ্তরের অফিসারদের মুখে চওড়া হাসি। উৎসবে সরকারি কোষাগারে বিপুল রাজস্ব আদায় করে দিতে পেরে তাঁদের চোখেমুখে তৃপ্তির হাসি।পূর্ব মেদিনীপুরের এক্সাইজ সুপার মণীশ শর্মা বলেন, ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত জেলায় ৩৩কোটি ৮৬লক্ষ টাকার দেশি, বিদেশি মদ ও বিয়ার বিক্রি হয়েছে। পুজোর মুখে সেপ্টেম্বর মাসে আমরা বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযানও শক্তপোক্ত করেছিলাম। ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানে বিক্রি বেড়েছিল।

জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক ও হলদিয়ায় পুজোয় বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে। ষষ্ঠী থেকেই সন্ধ্যার পর পাঁশকুড়া ও তমলুকের অনেক দোকানের সামনে সুরাপ্রেমীদের লাইন পড়ে গিয়েছিল। দশমীতে দোকান বন্ধ থাকে। মজুত রাখতে ও নবমীতেও দোকানের সামনে একই ছবি। ময়নায় একটি দোকানের সামনে রেশন দোকানের মতো লাইন পড়ে গিয়েছিল। নবমীর সকাল থেকেই জেলায় একাধিক জায়গায় খাসি মাংসের দোকানে ব্যাগ হাতে ক্রেতাদের লাইন চোখে পড়েছিল। আর নামতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানের সামনে সুরাপ্রেমীদের লম্বা লাইন। তাতেই কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে। এবার পুজোয় দীঘায় অতিরিক্ত ভিড় ছিল না। সচরাচর যেভাবে দীঘায় জনসমাগম হয় পুজোর সময়ও ছবিটা সেরকমই। পুজোর চারদিন অধিকাংশ মণ্ডপ হপিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। লম্বা ছুটিতে অনেকেই দূরের গন্তব্যস্থল পছন্দ করেন। তাই দীঘায় অতিরিক্ত ভিড় থাকে না। তবে, দীঘায় মদের দোকানে বিক্রি ভালো পুজোর মাসে বিক্রি বাড়ানোর জন্য আগেভাগে প্ল্যান সেরে রেখেছিল আবগারি দপ্তর। এজন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলাজুড়ে অবৈধ মদ ও কারবারিদের বিরুদ্ধে স্পেশাল ড্রাইভ শুরু হয়েছিল। মাসব্যাপী ওই স্পেশাল ড্রাইভে ২৪৭৬টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। তাতে ৩৭৯টি মামলা দায়ের করেছেন আবগারি দপ্তরের অফিসাররা। বেআইনি মদ ও মদ তৈরির অনেক কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক মাসে আবগারি দপ্তর চোলাই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৩০জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা। এছাড়া, পুলিশ গত এক মাসে বেআইনি মদের বিরুদ্ধে আরও ১১জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বেআইনি মদের উৎসমুখ বন্ধ করে সুরাপ্রেমীদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানমুখী হতে বাধ্য করার ফলে এই সাফল্য বলে আবগারি দপ্তরের অফিসারদের বক্তব্য।

No comments