Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নিম্নচাপের জন্য ঘনঘন বৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানুষের মন ভালো নেই!

নিম্নচাপের ভ্রু কুটিতে পূজো কমিটি মন্ডপসজ্জায় ....নিম্নচাপের জন্য ঘনঘন বৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানুষের মন ভালো নেই । চিরাচরিতভাবে প্রতিটি মানুষের ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা মেতে ওঠে আবালবৃদ্ধবনিতা ।দূর্গা উৎসব শেষ হয়েছে বিজয় দশমী …

 

নিম্নচাপের ভ্রু কুটিতে পূজো কমিটি মন্ডপসজ্জায় ....

নিম্নচাপের জন্য ঘনঘন বৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানুষের মন ভালো নেই । চিরাচরিতভাবে প্রতিটি মানুষের ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা মেতে ওঠে আবালবৃদ্ধবনিতা ।দূর্গা উৎসব শেষ হয়েছে বিজয় দশমী কাটতে না কাটতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভবানীপুর থানার অন্তর্গত লক্ষ্মী গ্রামে চাউলখোলা ও কিসমত শিব রামনগর গ্রামে লক্ষ্মী পুজো কে নিয়ে এলাকার মানুষজন মেতে ওঠেন। এই গ্রামকে লক্ষ্মী গ্রাম নামে চিহ্নিত। হলদিয়া মহকুমার এলাকা থেকে ঐ গ্রামে প্রতিমা দর্শনের জন্য মানুষ ভিড় জমান। ক্লাবের সম্পাদক মহাপ্রভু বেরা বলেন বৃষ্টি আমাদের অনেকটা মন্ডপ তৈরি করার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে কিন্তু তা সত্বেও আমরা যতটা সম্ভব আমরা সেই মন্ডপ কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করছি। পূজো কর্মকর্তারা জানান মন্ডপ এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে গৃহলক্ষী আরাধনায় মেতে উঠবেন কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে যে মূল্যবৃদ্ধি এমনটাই সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে। কিন্তু পুজো করতে হবে একজন ব্রজলাল চকের ফল ব্যবসায়ী বললেন আমরা বিভিন্ন রকমের ফলের পসরা নিয়ে বসে থাকি! দুর্গাপূজা থেকে লক্ষ্মীপুজো হয়ে কালী পূজা পর্যন্ত আমরা মনে করি সারা বছর যাবত ফল বিক্রি হয় তার থেকে এই লক্ষ্মীপুজোর সময় বেশি ফলের চাহিদা থাকে। সব রকম ফল নিয়ে আমরা বসে রয়েছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এমনটাই দাঁড়িয়েছে তাই ফল কেনার ইচ্ছা থাকলেও সাধ্যের মধ্যে নেই। তাই যতটা বিক্রি হওয়া দরকার ছিল আশা করেছিলাম অতটা হয়নি। যদিও কাল থেকে শুরু হবে একদম শনিবার পর্যন্ত মা লক্ষ্মীর আরাধনা এলাকার মানুষ মেতে উঠবেন। হয়তো পরবর্তীকালে ফলের চাহিদা আসবে। শসা থেকে আপেল খেজুর থেকে কলা সবটাই যেন আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। তা সত্ত্বেও মায়ের আরাধনার জন্য ফল বাজারে আসছেন ফল কিনছেন।

ফলের দাম বৃদ্ধি হলেও মাকে নিবেদন করতে হবে।আত্মীয়স্বজনতো কেউ আসবে । তাই যত মূল্যবৃদ্ধি হোক না কেন কিঞ্চিৎ হলেও মাকে ফল কিনে নিবেদন করব। ফল কিনতে এসে বললেন চন্দ্রানী মিদ্যা।শিক্ষিকা সুপ্রিয়া দাস বলেন প্রতিবছর মাকে ঘটা করে বাড়িতে পুজো করি। আমরা কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা সারারাত ধরে আনন্দ করি। কিন্তু ফলের মূল্যবৃদ্ধি যতই হোক না কেন  আত্মীয়-স্বজন আসবে ।  মায়ের আরাধনা আমরা যত কিঞ্চিৎ হলেও মূল দিয়ে নিবেদন করব। তিনি আরো বলেন  প্রত্যেক বৎসর লক্ষ্মী পুজো মানেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর খাওয়া-দাওয়ার হিড়িক সারা রাত্রি ব্যাপি আমরা কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো তে সারারাত আনন্দ করি।কবিতা চক্রবর্তী বলেন লক্ষ্মী পুজো মানেই আমরা সকলেই হৈ-হুল্লোড় আনন্দ ফুর্তি করি ।সারা রাত্রি জাগরন এর মধ্য দিয়ে কিন্তু এবারে নিম্নচাপের জন্য ঘন ঘন বৃষ্টি আর ফলমূলের দাম বৃদ্ধি। আনন্দ উপভোগ হবে। সার্বজনীন পাড়ায় পাড়ায় পুজো হতো সেখানে আমরা ঠাকুর দেখার জন্য সন্ধ্যা থেকে বেরিয়ে পড়তাম। কিন্তু এবছর নিজের বাড়িতে পুজো করবো কোথাও যাবো না। দুর্গাচক এর মিষ্টি ব্যবসায়ী শ্রীকৃষ্ণ সুইট বললেন আমরা পুজোর সময় ভিন্ন স্বাদের যেমন মিষ্টি করি এবং লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজো ভাইফোঁটা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের আমরা মিষ্টির উপহার দিয়ে থাকি দূর্গা উৎসব আমরা দেখেছি  মানুষ বেরিয়েছিলেন ভালো সংখ্যক বিক্রি হয়েছে কিন্তু রাত পোহালে লক্ষ্মী পূজা। লক্ষ্মী পূজা তে যে মিষ্টি মানুষ নিয়ে যেতেন বাড়িতে অন্যান্যবারের মতো অর্ডার রয়েছে।  আর ১৫ দিন পরেই কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা মিষ্টির আমরা করব কিন্তু নিম্নচাপের জন্য ঘনঘন বৃষ্টি কত মিষ্টান্ন বিক্রি হবে সেটা এখনো আমরা বুঝতে পারছি না। কিন্তু জনসাধারণের জন্য বিক্রেতাদের জন্য আমরা অন্যান্য বারের মতো এবারেও ভিন্ন ধরনের ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি আমরা তৈরি কোরবো।

No comments