পূর্বের ১৬টি আসনেই জয়ের ডাক শুভেন্দুর
তৃণমূলের প্রভাবশালী মন্ত্রী থাকাকালীন বারবার শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা যেত, "পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬ আসন চাই।" ফুল বদল করলেও সুর বদল করেননি তিনি। পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া নন্দীগ্রামের বিধ…
পূর্বের ১৬টি আসনেই জয়ের ডাক শুভেন্দুর
তৃণমূলের প্রভাবশালী মন্ত্রী থাকাকালীন বারবার শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা যেত, "পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬ আসন চাই।" ফুল বদল করলেও সুর বদল করেননি তিনি। পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এখনও ১৬ আসনের লক্ষ্যমাত্রা, তবে -সেটা বিজেপির পক্ষে।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে 'গড়' অটুট রাখতে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ টির মধ্যে সবক'টি আসনে অজয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন শুভেন্দু। সোমবার কাঁথি শহরের বীরেন্দ্র স্মৃতিসৌধে সাংগঠনিক ন জেলা বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী ন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি দলের ⇒ সব স্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন,"এ বার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫১ শতাংশ। জেলায় ১৫টি বিধানসভা আসনই চাই। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই যে, এই জেলায় আমরা দু'টো লোকসভা এবং ১৫টি বিধানসভায় এগিয়ে থাকার কারণে শাসক হয়ে গিয়েছি।"
জেলার সব আসনে জয় ছিনিয়ে আনার ক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দল কাঁটা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু বলেন, "পদ্ম যাঁর আমি তাঁর। উপরে নরেন্দ্র মোদী আর নীচে পদ্ম। মাঝখানে কাউকে দেখবেন না।" কী ভাবে এই জয় আসবে, তাও বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "দলের তরফে যাঁরা বিএলএ-টু হিসেবে কাজ করছেন তাঁদের মন দিয়ে এসআইআর-এর কাজ করতে হবে। দেখতে হবেবি এলও-রা ঠিক মতো কাজ করছেন কিনা। সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিএলএ-টু দের নিয়ে আলাদা করে আমি বসব।
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, "আমাদের এলাকায় মুসলমান গ্রামগুলিতে অনেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ে করেছেন। তাঁদের নাম কোনওভাবেই ভোটার তালিকায় থাকবে না।" পাশাপাশি বুথ লেভেল অফিসারদের কার্যত হুমকির সুরে বিরোধী দলনেতা বলেন, "বিহারে ৪৩২ জন বিএলও-র বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। আপনারা যদি জেলে যেতে না চান তাহলে তৃণমূলের কথা না শুনে কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশনের কথা শুনবেন।"
প্রসঙ্গত, রবিবার তাম্রলিপ্ত সাংগঠনিক জেলার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে প্রাক্তন সেনাকর্মী, সাধু-মহন্তদের বিজয় সম্মেলনে ডাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও তাঁর নিজেরএলাকায় বিজয়া সম্মিলনীতে এ রকম কাউকে দেখা যায়নি। বিজেপির কাঁথি সংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, "প্রতি মণ্ডলে আগামী ১৮ অক্টোবর বিকেল তিনটার সময় বিজয়া সম্মেলন করে যাঁদের নিমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে।"
No comments