শোলাট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দশমীতে আকর্ষণ পান্তাভাত ও ইলিশ মাছের ভোগ!হলদিয়ার শোলাট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয় একান্নবর্তী পরিবার হয়ে ওঠেন পাঁচ গ্রামের মানুষ। শোলাট, গেঁওডাব, বড়বাড়ি, চাউলখোলা ও ডিঘাসিপুর এই পাঁচ গ্রামের ম…
শোলাট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দশমীতে আকর্ষণ পান্তাভাত ও ইলিশ মাছের ভোগ!
হলদিয়ার শোলাট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয় একান্নবর্তী পরিবার হয়ে ওঠেন পাঁচ গ্রামের মানুষ। শোলাট, গেঁওডাব, বড়বাড়ি, চাউলখোলা ও ডিঘাসিপুর এই পাঁচ গ্রামের মানুষ আনন্দে মাতেন শোলাটের সর্বজনীন পুজোয়। হলদিয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড হলেও শহরের প্রান্তবর্তী শোলাটের মানুষকে পুজো দেখতে যেতে হত অনেক দূরে। বছর পাঁচেক আগে সবাই উদ্যোগ নিয়ে শুরু করেন দুর্গাপুজো। শোলাটের সর্বজনীন দুর্গোৎসব শুধু পুজো নয়, এক মেলবন্ধনের উৎসব হয়ে উঠেছে। শোলাট শীতলা মন্দির প্রাঙ্গণে তৈরি হয় পুজো মণ্ডপ। পঞ্চমী থেকেই সেখানে গ্রামের মানুষের পাত পড়ে দু'বেলা। ১০ হাজারের বেশি মানুষকে পুজোর সময় ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়। দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক বীরেন কর বলেন, দুর্গোৎসব পরিচালনার জন্য মহিলাদের বিশেষ কমিটি তৈরি হয়েছে। এরাই পুজোর উপাচার সাজানো, ভোগপ্রসাদ বিতরণ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব কিছুতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে। পুজোকে আনন্দময় করে তুলতে গ্রামের ছেলেমেয়েদের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে উৎসাহিত করা হয়। পুজোর সময় কী অনুষ্ঠান করবে সারা বছর ধরে তার মহড়া চলে। পুজোর আকর্ষণ গ্রামের মহিলাদের নিজস্ব আগমনী অনুষ্ঠান 'মহিষাসুরমর্দিনী'। নানা বয়সের শিশু, তরুণী এবং মহিলারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পঞ্চমী থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল দশমীতে ইলিশ মাছ ও পান্তা ভাত দিয়ে মা'কে ভোগ দেওয়া হয়। ওইদিন দু'হাজার মানুষকে ইলিশ মাছ, পান্তা ভাতের ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। পুজোর সময় গ্রামের বাইরের অতিথিদের আতপচালের খিচুড়ি ভোগ মাটির হাঁড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দেন পুজো কমিটির সদস্যরা। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় শোলাট সর্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মিলন মণ্ডল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সভায় সভাপতিত্ব করেন পুজো কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ সিনহা। এদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত হয় 'মহিষাসুরমর্দিনী' অনুষ্ঠান। পুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি কানাই সিনহা বলেন, পুজোর কয়েকদিন বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য বিভাস সিনহা বলেন গ্রামের পুজো হলে পুজো কমিটির ভলেন্টিয়ার্স পাড়ায় পাড়ায় টহল দিয়ে থাকে যাতে কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই পুজোতে প্রায় ১০০ জন মহিলা ভলেন্টিয়ার্স রয়েছে তাদের একই রঙে শাড়ি পরে থাকেন প্রতিদিনই যেন একই পরিবারের ছত্রছায়া থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দোলাই বলেন প্রায় তিন মাস আগে থেকেই আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলে।
No comments