পেট্রোকেমের নতুন প্রজেক্টের জন শুনানিতে এসে চাকরির দাবি করলেন উদ্বাস্তুরা!
হলদিয়া পেট্রকেমের সহকারী সংস্থা অ্যাডপ্লাস কেমিকেল এন্ড পলিমার্সের প্রস্তাবিত ফেনল প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের জনশুনানিতে এসে চাকরির দাবি জানালেন উদ্বাস্তুরা।…
পেট্রোকেমের নতুন প্রজেক্টের জন শুনানিতে এসে চাকরির দাবি করলেন উদ্বাস্তুরা!
হলদিয়া পেট্রকেমের সহকারী সংস্থা অ্যাডপ্লাস কেমিকেল এন্ড পলিমার্সের প্রস্তাবিত ফেনল প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের জনশুনানিতে এসে চাকরির দাবি জানালেন উদ্বাস্তুরা। তাঁরা বলেন, নতুন কারখানাকে স্বাগত জানাচ্ছি। হলদিয়ায় নতুন কারখানা হলে অনেকের চাকরি হবে। সেখানে কাজের সুযোগের ক্ষেত্রে উদ্বাস্তু পরিবারের যোগ্য ছেলেমেয়েদের অগ্রাধিকারের দাবি জানাচ্ছি। এদিন হলদিয়া পুরসভা চত্বরে বিআর আম্বেদকর ভবনের সভাঘরে ওই জনশুনানির আয়োজন করেছিল পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ পর্ষদের হলদিয়া রিজিওনাল অফিসের মুখ্য এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শিশির মণ্ডল, ডিস্ট্রিক্ট প্ল্যানিং অফিসার সমীরণ বারিক সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিক শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে পেট্রকেমিক্যালস ও অ্যাডপ্লাস কেমিকেলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর বোর্ডের সদস্য অশোককুমার ঘোষ, প্ল্যান্ট হেড অনন্তচরণ মিশ্র, অপারেশন হেড সুন্দরগোপাল হাজরা ও পদস্থ আধিকারিকরা। জনশুনানির জন্য কয়েকদিন আগে থেকে সংস্থার পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিলি করা হয়েছে। এদিন পেট্রকেমের ফেনল প্ল্যান্টের শুনানিতে স্থানীয় বাসিন্দা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি, উদ্বাস্তু এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেট্রকেমের সহকারী সংস্থা অ্যাডপ্লাস কেমিকেল পেট্রকেম চত্বরে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচে নতুন একটি ফেনল প্ল্যান্ট গড়ছে। নির্মিয়মাণ ফেনল প্ল্যান্টের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রথমে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টন। এছাড়া অ্যাসিটোনের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টন ছিল। ভারতে হলদিয়া পেট্রকেমের ওই ফেনল প্ল্যান্ট হয়ে উঠবে বৃহত্তম প্ল্যান্ট। পরে বাজারের চাহিদা দেখে নির্মিয়মাণ প্ল্যান্টের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ। নয়া সম্প্রসারণের ফলে ফেনলের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে ৪ লক্ষ টন হবে এবং অ্যাসিটেন উৎপাদন বেড়ে হবে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার টন। পেট্রকেম জানিয়েছে, এদিন ওই সম্প্রসারণের জন্য পরিবেশগত জনশুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন শুনানির সময় পেট্রকেমের উদ্বাস্তুরা নতুন প্রকল্পে কর্মসংস্থানের দাবি জানান। এছাড়াও বার্ন হাসপাতাল করারও দাবী জানালেন। কারখানা সংলগ্ন বাসিন্দারা পেট্রকেমের পাওয়ার প্ল্যান্টের ফ্লাই অ্যাশ দূষণ নিয়ে অভিযোগ করেন। তবে সকলেই পেট্রকেমের নতুন কারখানাকে স্বাগত জানিয়েছে। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন অ্যাডপ্লাস কেমিকেল এন্ড পলিমার্সের পলিউশন ডিজিএম সৌগত মহেন্দ্র।
No comments