অমর কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীর সূচনা দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য ও আলোচনা সভা! সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর উদ্যোগে মেচেদা বিদ্যাসাগর গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়…
অমর কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীর সূচনা দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য ও আলোচনা সভা!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর উদ্যোগে মেচেদা বিদ্যাসাগর গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৫০ তম (১৮৭৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর,৩১ শে ভাদ্র) জন্মবার্ষিকী সূচনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যাসাগর অনুরাগী সমিতির সভাপতি গণেণ রায়। উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট সদস্য অধ্যাপিকা অনুরূপা দাস,চাঠরা কুঞ্জরানী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত প্রামাণিক,দাড়িওয়ালা ভীমচরন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পূর্ণেন্দু বিকাশ পাত্র,ডাঃ রমেশ বেরা,মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য দিলীপ মাইতি প্রমূখ। বাংলা নারীদের প্রতি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল যা তার গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ---এই বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন অধ্যাপিকা অনুরূপা দাস। তিনি শরৎচন্দ্রের কথা উল্লেখ করে বলেন শরৎচন্দ্র লিখেছিলেন "মানুষের মরণ আমাকে বড় আঘাত করে না, করে মনুষ্যত্বের মরণ দেখিলে"। আজ সমাজে ঘরে বাইরে নারীরা কিভাবে লাঞ্ছিত নিপীড়িত হচ্ছে, এর থেকে মুক্তি পেতে গেলে আমাদের কি করনীয় তা তিনি তার আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটছে, মূল্যবোধের চূড়ান্ত সংকট দেখা দিচ্ছে। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে শরৎ সাহিত্যের আলোচনা হওয়া দরকার। পূর্ণেন্দুবাবু শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মানবিক দিকগুলো তুলে ধরেন। গণেণ রায় স্বাধীনতা আন্দোলনে শরৎচন্দ্র কিভাবে বিপ্লবী আন্দোলনকে নানান ভাবে সহযোগিতা করেছেন,তা তুলে ধরেন। সভা সঞ্চালনা করেন ডাঃ কালিশংকর পাত্র । তিনি বলেন এই এলাকায় ছাত্র-শিক্ষক-মা -বোন সহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে শরৎ সাহিত্যের গল্প উপন্যাস গুলির প্রকাশনার বিশেষ দিনগুলি আলোচনা সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
No comments