দীর্ঘ কয়েক বছর ভবঘুরেদের মাতঙ্গিনী আবাসন পড়ে থাকার পর নতুন রূপে চালু হলো বৃদ্ধাশ্রম!২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছিল মাতঙ্গিনী আবাসন সেই আবাসনে প্রায় 50 জন ভবঘুরে থাকতেন ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে কেন্…
দীর্ঘ কয়েক বছর ভবঘুরেদের মাতঙ্গিনী আবাসন পড়ে থাকার পর নতুন রূপে চালু হলো বৃদ্ধাশ্রম!
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছিল মাতঙ্গিনী আবাসন সেই আবাসনে প্রায় 50 জন ভবঘুরে থাকতেন ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে কেন্দ্র সরকারের প্রজেক্টটি বন্ধ হয়ে যায়। তার ফল এই সমস্যায় পরে ওই সকল ভবঘুরেদের নিয়ে পৌরসভা সমস্যায় পড়ে। সেই সময় হলদিয়া পৌরসভার পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন সুধাংশু মন্ডল তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত হয় একটি সভায় পৌরসভার ওল্ড ফার্ম থেকে এস এইচ জি গ্রুপের মহিলারা ওই ভবঘুরেদের আবাসন চালাবে সেই অনুযায়ী মিটিং এর রেজুলেশন করে ওই সকল মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারই মধ্যেই আম্ফানের ঘূর্ণিঝড় সবটাই উলটপালট হয়ে যায়। কিছু দরজা জানলা ক্ষতি হয় তারই ফলে পৌরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত করে আপাতত কয়েক মাসের জন্য তমলুক আবাসনে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবং এই আবাসন তাদেরকে আবার নিয়ে আসা হবে। তারই মধ্যেই ঘটে যায় পৌরসভার বোর্ড মেয়াদ । পৌর প্রশাসক নিযুক্ত হয়েছেন বারে বারে তমলুক থেকে ভবঘুরে দিয়ে রানার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় কিন্তু উপায় নেই বারে বারেই সংবাদমাধ্যম এবং মহিলারা কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি পৌর প্রশাসক হিসেবে রয়েছেন কোন টেন্ডার করে এই সকল কাজ করার তার এক্তিয়ারের মধ্যে নেই । কিন্তু হঠাৎ সেই আবাসন নতুন রূপে সজ্জিত হয়ে । সেই সকল মহিলাদের কিছু না জানিয়ে তুলে দেওয়া হল পাউসী অনাথ আশ্রমের হাতে সেখানে বর্তমানে এখন বৃদ্ধাশ্রম হিসেবেই চলবে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাউশী অনাথ আশ্রমে অন্যতম কর্ণধার বলরাম করন তিনি পৌরসভা কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি বলেন আমাদের এই কর্মসূচি ছাড়া রাজ্যব্যাপী চলছে অনাথ অসহায় দুঃস্থ মানুষদের জন্য এই প্রকল্প। হলদিয়া পৌরসভা যেভাবে এই আবাস গৃহটি সাজিয়ে দিয়েছেন সেজন্য সত্যি আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। তবে তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে ১১ জন বৃদ্ধ এই আশ্রমে থাকার জন্য আবেদন করেছেন। মোট ১০০ জনকে রাখা যাবে এই আবাসনে। কিন্তু সেই ২৫ জন ভবঘুরেদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোন তৎপরতা দেখা গেল না। তবে এই বিষয়ে জেলাশাসক মহকুমার শাসক সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেন তবে এসএইচ গ্রুপের অন্যতম ফিন্যান্স অফিসার মহাদেব দাস বললেন আমাদের নজরে রয়েছে আগামী দিনে আলোচনা করেই এই সকল ভবঘুরীদের কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে তিনি আরো বলেন মাতঙ্গিনী আবাসনে ৫০ টি বেড রয়েছে এখানে সব রকমের মানুষদের রাখা যাবে। হলদিয়া পৌরসভার এই আবাসনের ফিনান্সের দায়িত্বে থাকা মহাদেব বাবু বলেন ৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু পাউসি অনাথ আশ্রম অন্যতম কর্ণধার বলরাম করন বলেন এখানে ১০০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে।এই বেড নিয়ে দুই রকমের দুটো কথা ভেসে আসায় এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে।
No comments