প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছাত্রীদের!
একজন নয়, দু'জন নয়, একাধিক ছাত্রী এমন গুরুতর অভিযোগ করল। তাদের দাবি, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্থা করছেন। এরপর সোমবার অভিযুক্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্র …
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছাত্রীদের!
একজন নয়, দু'জন নয়, একাধিক ছাত্রী এমন গুরুতর অভিযোগ করল। তাদের দাবি, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্থা করছেন। এরপর সোমবার অভিযুক্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্র ছাত্রীরা। ক্ষোভ সামলাতে না পেরে প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবকদের।
মারধর করা হয় তাঁকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলে পুলিশ গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ তুলল ছাত্রীরা। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই যৌন হেনস্থা করছিলেন ওই শিক্ষক। অভিযোগ, ছাত্রীদের একা দেখা করা থেকে শুরু করে তাদের কোলে বসিয়ে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। ঘটনা হয়ে আসছিল কয়েক মাস ধরেই। এরপর বেশ কয়েকজন ছাত্রী তাদের বাড়িতে জানায় বিষয়টি। তারপরই স্কুলে উপস্থিত হন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।
অভিভাবকদের প্রশ্নের যথাযথ কোনও উত্তর প্রধান শিক্ষক না দেওয়ায় তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে মাটিতে বসিয়ে রাখা হয় বেশ কিছুক্ষণ। এবং তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হন স্থানীয় কাউন্সিলর সহ তমলুক থানার পুলিশ।
পুলিশের সামনেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে গেলে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রীরা। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা সময় অতিক্রম করার পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে।
নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, "কোনও বাহানা দিয়ে ডাকে। তারপর গাল টেপে। পেটে টাচ করে, ছোট মেয়েদের ছাড়ে না। বাজে কথা বলে। খালি বলে আলাদা দেখা করবি। পড়ার কথা আছে। কিন্তু কিছুই থাকে না।" নবম শ্রেণির আরও এক ছাত্রী বলেন, "স্যর যদি এমন করে কী করব বলুন তো। ভয় লাগে। অনেক ছাত্রী আছে যাঁরা শুধু ক্লাসে আসে পরীক্ষার সময়।" ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, "স্যর ক্লাসে ঢুকে মেয়েদের কাছে ডাকে। ছেলেদের ডাকে না। যে ছেলে ক্লাসের টপার তাকেও মারে। মেয়েদের বলে না। স্যর মেয়েদের ডেকে কোলে বসায়। তারপর তার গাল টেপে, উল্টোপাল্টা জায়গায় হাত দেয়। কিছু দিন ধরেই চলছে। আমরা সাহস করে বলতে পারিনি।" প্রধান শিক্ষক বলেন, "আমার কিছু বলার নেই।"
No comments