বিশ্বকর্মা পুজোতেও তৃণমূলে কোন্দল!হলদিয়া শহরে হলদিয়া তৈল শিল্প শোধনাগারে শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজনের রেখাটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে। শ্রমিকেরা এ বার পৃথক ভাবে দু'টি বিশ্বকর্মা পুজো করছেন। শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, দু'টি পুজোর নেপ…
বিশ্বকর্মা পুজোতেও তৃণমূলে কোন্দল!
হলদিয়া শহরে হলদিয়া তৈল শিল্প শোধনাগারে শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজনের রেখাটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে। শ্রমিকেরা এ বার পৃথক ভাবে দু'টি বিশ্বকর্মা পুজো করছেন। শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, দু'টি পুজোর নেপথ্যেই রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক নেতারা। বিজেপির কটাক্ষ, "কে বেশি টাকা তুলে আত্মসাৎ করতে পারবেন, তারই প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তৃণমূল নেতারা।" পাল্টা তৃণমূলের দাবি, পুজোর আয়োজন করেন শ্রমিকেরা। তৃণমূল নেতারা কখনই সরাসরি পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকেন না।" শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, দুই তরফেই ৪০০ টাকা করে চাঁদা দিতে বলা হয়েছে।শ্রমিকদের দাবি, শোধনাগারের কন্ট্রাকটর, সাপ্লায়ার, সুপারভাইজার, স্টাফ এবং ওয়ার্কমেন আয়োজিত বিশ্বকর্মা পূজা কমিটির নেপথ্যে রয়েছেন চার জন কোর কমিটির সদস্য। তাঁরা হলেন আস্তিক চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্ত ভক্তা, শ্যামল মাইতি এবং শঙ্কর দণ্ডপাঠ। আস্তিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই পুজো বরাবরই হয়ে আসছে হলদিয়া শোধনাগারে। শ্রমিক এবং ঠিকাদারেরা সম্মিলিতভাবে এই পুজো করেন। আমরা খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলাম। কারণ, কোর কমিটির নিয়ম হল, কমিটির কমপক্ষে তিন জন সদস্য একসঙ্গে কোনও সংস্থায় যেতে পারবেন। এটা পুরোপুরি শ্রমিকদের পুজো। তৃণমূল সরাসরি পুজোয় অংশগ্রহণ করছে না। তবে একাধিক কারখানায় শ্রমিকেরা এ বার একাধিক পুজো করছেন।"
শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, নতুন শ্রমিকদের নামে অর্থাৎ 'রিফাইনারি লেবার কন্ট্রাক্টর্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন'-এর নামে যে পুজো করা হচ্ছে তার পেছনে রয়েছেন কোর কমিটির সদস্য প্রদীপ দে। তবে এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রদীপ দে-কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ভারতীয় মজদুর সংঘের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন, "তৃণমূল নেতারা পুজো করার জন্য আগ্রহী বেশি। কারণ, কে কত বেশি টাকা পকেটে ভরতে পারবেন, তার লড়াই চলছে শিল্প শহরে।"
No comments