Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

২৮৫বছরে পড়ল শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর জন্মাষ্টমীর নন্দ উৎসব!

২৮৫ বছরে পড়ল  শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর জন্মাষ্টমীর নন্দ উৎসব! ১৬-১৭ই আগষ্ট দুই দিনের শুরু হল বাড় উত্তর হিংলীর অধিকারী পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন জন্মাষ্টমীর নন্দ উৎসব। 

জন্মাষ্টমীর উৎসবের দিন থেকেই শ্রীমৎ ভাগবত গীতা, কৃষ্ণের জন্ম ল…

 




২৮৫ বছরে পড়ল  শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর জন্মাষ্টমীর নন্দ উৎসব!

 ১৬-১৭ই আগষ্ট দুই দিনের শুরু হল বাড় উত্তর হিংলীর অধিকারী পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন জন্মাষ্টমীর নন্দ উৎসব। 



জন্মাষ্টমীর উৎসবের দিন থেকেই শ্রীমৎ ভাগবত গীতা, কৃষ্ণের জন্ম লীলা, পশারি গান, নন্দ উৎসবের গান, হয় সারা রাত্রি ধরে। শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর মন্দিরে জন্মাষ্টমীর উৎসবকে ঘিরে মাতোয়ারা হয় বাড় উত্তর হিংলী আশপাশের গ্রামের মানুষ। জন্মদিনের পরের দিনই কয়েক হাজার মানুষকে বসে ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়। দেওয়া হয় জন্মাষ্টমীর আট কড়াই ভাজা, নারকেল সন্দেশ ,তালের বড়া, গুড়ের পিঠা।, খাওয়ানো হয় পরমান্য এবং মদন চাঁদ জিউর সবথেকে প্রসিদ্ধ ভোগ বিচাকলার ছেঁচকি। সকাল থেকে বহু ভক্ত আসেন প্রসাদের জন্য প্রায় ছয় হাজার ভক্ত বসে প্রসাদ গ্রহণ করেন। বহু ভক্ত কীর্তন দলের সাথে নাচে মেতে ওঠেন।  আশপাশের গ্রাম তো বটেই, শিল্পশহর হলদিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর দিঘা কাঁথি কলিকাতা থেকেও প্রাচীন জন্ম অষ্টমীর নন্দ উৎসব দেখতে ছুটে আসেন বহু মানুষ। সুসজ্জিত মদন চাঁদ  জিউকে  দর্শন করেন জন্মাষ্টমীর বর্ণময় ইতিহাস শ্রবণ করেন। সূত্রে জানা যায়, সারাবছর মদনচাঁদ জীউ ভক্তদের বাড়ি বাড়ি থাকেন কেবলমাত্র দোল উৎসব ও জন্মাষ্টমী পূর্ণ লগ্নে  তিনি মন্দিরে বিরাজ করেন। জন্ম অষ্টমীর নন্দ উৎসব ছাড়াও ধুমধাম করে পালিত হয় দোল উৎসব। বহুদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন মন্দিরে।বিশেষ সূত্রে জানা যায়,  ১৭৪০ সালে মহিষাদল রাজা ৩৬৫ বিঘা জমি দান করেন, প্রত্যেকদিন এক বিঘা জমির উৎপাদিত ফসলে পূজার্চনা করার জন্য দান করেন। 

প্রসঙ্গত ১৭৪০ সালে স্বপ্ন আদেশে ভৈরব দাস বাবাজী নদীর ধার থেকে মদন চাঁদ কে কুড়িয়ে নিয়ে এসে তালপাতার ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন। ভৈরব বাবাজি মদন চাঁদ জীউর পূজার জন্য ভিক্ষা করে এনে পূজার্চনা করতেন। পৌরাণিক কথা রয়েছে ব্রাহ্মণ বেশে মহিষাদল রাজপরিবারে ভিক্ষার জন্য জান। রাজপরিবারের দারোয়ানরা তাকে চাল ভিক্ষা দিলে তিনি সম্পত্তি বা জায়গা দানের জন্য আবেদন করেন । রাজা ক্ষুব্দ হয়ে রাজদরবার থেকে বাহির করে দেন। তিনি অভিশাপ করেন । রাজ পরিবার ধ্বংস হবে! তিনি রাজ দরবার থেকে চলে আসেন পরবর্তীকালে মহিষাদল রাজ পরিবারের সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন মহিষাদলের রাজমাতা জানকী দেবি খুঁজতে খুঁজতে বাড় উত্তর হিংলি গ্রামে আসেন এবং তাল পাতার কুটিরে মদনচাঁদকে দেখতে পান। সেখানেই তিনি মানৎ করেন তার  রাজ পরিবারের সকলেই সুস্থ হয়ে গেলে তিনি ৩৬৫ বিঘা জমি দান করবেন।যাতে প্রতিবিঘা উৎপাদিত ফসল পূজা-অর্চনায় লাগে। জন্ম অষ্টমীর পরের দিন নন্দ উৎসবে সকালে প্রায় ছয়’হাজার ভক্তকে  প্রসাদ হিসাবে সাদা ভাত, ডাল, কুমড়োর ঘণ্ট, চাটনি ও পায়েস  বিচা কলার ছেঁচকি খাওয়ানো হয়। শ্রীশ্রী মদনচাঁদ জিউর সবথেকে প্রিয় বিচা কলার ছেঁচকি। পরিবারের অন্যতম সদস্য  প্রদীপ অধিকারী  বলেন জন্ম অষ্টমীর রাতে আট কড়াই ভাজা, নারকেল সন্দেশ , বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন, তালের বড়া তো থাকেই এবং তার পরের দিন নন্দ উৎসবের দিন  সকালে মদনচাঁদ জিউর পরমান্ন সহ বিশেষ ভোগপ্রসাদ খাওয়ানো হয় দর্শনার্থীদের। নন্দ উৎসবের সকালে উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল রাজ পরিবারের সদস্য রুদ্র প্রসাদ গর্গ। উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের শুভানুধ্যায়ী ছিলেন পুরোহিত সমাজ এবং ব্রাহ্মণ সমাজ পরিবারের বহু সদস্য সদস্য। পুরোহিত সমাজের সদস্য ডঃ ভবানীপ্রসাদ রাজ,বলেন সামনে দুর্গোৎসব মানেই মহা পুজো, পুজো আধ্যাত্মিকতার পরিবর্তে সামাজিক রাজনৈতিক এবং অন্য ধরনের মাত্রা এখন যোগ হয়েছে। আর তার জন্যই ব্রাহ্মণদের বিশেষ প্রশিক্ষণ মধ্য দিয়ে পৌরহিত করা জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া আধ্যাত্মিক, ঐতিহ্য ভক্তি, শ্রদ্ধা নিবেদন এর মধ্য দিয়ে মাকে আহ্বান করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পুরোহিত সমাজ বা ব্রাহ্মণ সমাজের সকলকেই আমরা বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করি বর্তমানে এখন সেই প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। 


No comments