স্কুলে পালিত হল প্রধান শিক্ষিকার জন্মদিন!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে একটি সার্কুলার করা হয়েছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা মনিষীদের জন্মদিন উদযাপন যাতে করা হয়। তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের মন ভালো থাকবে।…
স্কুলে পালিত হল প্রধান শিক্ষিকার জন্মদিন!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে একটি সার্কুলার করা হয়েছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা মনিষীদের জন্মদিন উদযাপন যাতে করা হয়। তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের মন ভালো থাকবে।
সে কথা মাথায় রেখেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা একত্রিত হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুপ্রিয়া দাস জন্মদিন পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন।
স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও খুব খুশি। জন্মদিন পালিত হবে, কেক কাটা হবে লজেন্স দেবে খাওয়া হবে ভুরিভোজ খুব খুব খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/cijLlteI00c
ধুমধাম করে জন্মদিন পালন হবে সেটা কিন্তু জানতে দেওয়া হয়নি। চুপি চুপি জন্মদিনের সমস্ত আয়োজন করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। এটা কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো অনুষ্ঠান। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীরা মনে মনে ভেবেছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে চমকে দেবেন। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা করেছিলেন প্রধান শিক্ষিকার বার্থডে কেক এবং লজেন্স। শিক্ষক-শিক্ষিকা গণ রেখেছিলেন মিড ডে মিলের সাথেই যুক্ত করে বিভিন্ন ধরনের খাবারের সমারহ। শিক্ষক শিক্ষিকা গণ ডেকে ছিলেন স্কুলের ভূমিদাতা সহ বেশকয়েকজন শুভানুধ্যায়ী মানুষজন দের। স্কুলের শিক্ষিকা ভেবেছিলেন বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে তার জন্মদিন পালন হবে। সারা বছর প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে নিয়ে মাঝেমধ্যেই মৌসুমের বিভিন্ন ফল কখনো বা মাছ মাংস খাওয়াতেন। সে অনুযায়ী স্কুলের সহশিক্ষিকাগণ প্রধান শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলে খাসি মাংস খাওয়ার আবদার করেছিলেন। শিক্ষক শিক্ষিকাগনের আবদারের জন্য তিনি রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু তার জন্মদিন এভাবেই স্কুলে কেক লজেন্স বিভিন্ন খাবারের পদ তৈরি করবে, সেটা কিন্তু ভাবতে পারেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুপ্রিয়া দাস। অন্যান্য দিনের মতো স্কুল শুরু হয়েছিল আর কিছু সময়ের মধ্যেই স্কুলের ক্লাসরুম নিমেষেই বদলে ফেলেছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সহযোগিতা করেছিলেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহপাঠী বন্ধুরা। তিনি প্রথমে অবাক হয়ে গেলেও পরে সকালের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ভুরিভোজ খাওয়াতেই মিলে গেলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুপ্রিয়া দাস বলেন আমার স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীরা যাদের এই মাসে জন্মদিন তাদেরও আমার সঙ্গে একই দিনেই তাদের জন্মদিন পালিত হবে। কিন্তু আজ কোন ছাত্র ছাত্রীদের জন্মদিন ছিল না। তাই সকল ছাত্র ছাত্রী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহকর্মী সকলে মিলে আজকের প্রধান শিক্ষিকার জন্মদিন আয়োজন করেছে আমি সত্যিই আপ্লুত। আমার সহ কর্মী বন্ধুরা আমাকে নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান করার আমি কৃতজ্ঞ ও আপ্লুত।আজ উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষাবন্ধু নিলয় প্রামানিক পার্থ প্রতিম প্রামাণিক শক্তিপদ ভূঁইয়া। শিক্ষক-শিক্ষিকা চণ্ডী দাস, মৈত্রেয়ী দাস,তুহিনা পুরকাইত নস্কর, সৌরভ নায়েক, করুণা খাঁড়া পাল প্রমূখ।
No comments