কোলাঘাট থানা এলাকায় দিনদুপুরে ইন্টিরিয়র ব্যবসায়ীকে অপহরন করে তিন লক্ষ টাকা ছিনতাই!
অপহরনকারীদের গাড়ীর ড্রাইভার সহ গাড়ী আটক।কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া থানার বর্ডার বরদাবাড় জিঞাদার মাঝে পুলিশ পিকেটের দাবী আজ বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে…
কোলাঘাট থানা এলাকায় দিনদুপুরে ইন্টিরিয়র ব্যবসায়ীকে অপহরন করে তিন লক্ষ টাকা ছিনতাই!
অপহরনকারীদের গাড়ীর ড্রাইভার সহ গাড়ী আটক।কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া থানার বর্ডার বরদাবাড় জিঞাদার মাঝে পুলিশ পিকেটের দাবী
আজ বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বারোটা নাগাদ একদল দুষ্কৃতকারী পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত জিঞাদা বাজার সংলগ্ন স্থানে এক হোম ইন্টেরিয়র(বাড়ীর নকশা)ব্যবসায়ী(যার বাড়ি বর্ধমানের দেবীপুর থানার মেমারিতে)কৃশানু সামন্তকে জোরপূর্বক বোলারো গাড়িতে তুলে অপহরণ করে। যার কাছে ছিল নগত তিন লক্ষ টাকা। রাস্তা পার্শ্ববর্তী লোক ঘটনাটি দেখে চিৎকার শুরু করে। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে আবগারি দপ্তরের কোলাঘাট সার্কেলের বড়বাবু রাহুল দাস অফিসে আসছিলেন। রাহুলবাবু পথচারীর চিৎকার শুনে গাড়িকে ধাওয়া করলে দুষ্কৃতকারীরা ওই ব্যবসায়ীকে কোলাঘাট থানার অন্তর্গত দেউলবাড় এলাকায় জোরপূর্বক ঠেলে ফেলে দেয়। এরপর রাহুলবাবু কোলাঘাট থানার পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কোলাঘাট থানার পুলিশ গাড়ীটিকে ধাওয়া করে বুড়ারির কাছে গাড়ী সহ গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে। এবং আহত কৃশানুকে পাইকপাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে নাগরিক সুরক্ষা কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও যুগ্ম সম্পাদক শুভাশিস মন্ডল বলেন,জিঞাদা ও বরদাবাড় বাজার মধ্যবর্তী স্থান বর্তমানে দুষ্কৃতকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। গত ২০২৩ সালে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা ওই স্থানে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া খুন হয়েছিল। এরপরও নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটেই চলেছে ওই এলাকায়। আমরা ওই এলাকায় সর্বক্ষণের পুলিশের নজরদারী সহ কোলাঘাট-পাঁশকুড়া থানার বর্ডার এলাকা জিঞাদা-বরদাবাড় বাজারের মাঝামাঝি স্থানে পুলিশ পিকেট ,রাতে পথবাতির বন্দোবস্ত সহ একগুচ্ছ দাবী জেলা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কার্যত কোন দাবীই কার্যকর করেনি।
অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
No comments