কেন্দ্র সরকারের আর্থিক অনুদানের তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতাল!ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসার জন্য যেন দিল্লি, লখনৌ, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, পাটনা কিংবা কলকাতার মতো রাজধানী শহরে ছুটে আসতে না-হয়। লক্ষ্য, ক্যান্সার-চিকিৎ…
কেন্দ্র সরকারের আর্থিক অনুদানের তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতাল!
ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসার জন্য যেন দিল্লি, লখনৌ, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, পাটনা কিংবা কলকাতার মতো রাজধানী শহরে ছুটে আসতে না-হয়। লক্ষ্য, ক্যান্সার-চিকিৎসাকে একেবারে জেলা ও মহকুমা স্তরে পৌঁছে দেওয়া। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ২০০টি জেলা হাসপাতালকে ডে কেয়ার ক্যান্সার সেন্টারের স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর মধ্যে রয়েছে বাংলারও আটটি কেন্দ্র। সব ক'টিই কলকাতা থেকে দূরে। এই সব হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার জন্য ভর্তি হয়ে কেমোথেরাপি ও আনুষঙ্গিক চিকিৎসা নিয়ে দিনের দিনই বাড়ি ফিরে যাবেন রোগী।
দেশের জেলায় জেলায় ক্যান্সার চিকিৎসাকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য ও সুলভ করে তুলতে প্রাথমিক ভাবে আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের ৭৪৩টি জেলাতেই ডে কেয়ার ক্যান্সার সেন্টার (ডিসিসিসি) খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর মধ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ২৯৭টি সেন্টার খোলার কথা ঠিক হয়েছে। এর মধ্যে ২০০-র কিছু বেশি কেন্দ্রের জন্য আপাতত আর্থিক অনুমোদন মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে আটটি জেলা- মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ত্রিপুর জেলার নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব জানান, প্রতিটি কেন্দ্র গড়ে তুলতে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা করে মঞ্জুর করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতালের এই ডে কেয়ার সেন্টারগুলিতে কম খরচে কেমোথেরাপি, প্রাথমিক স্ক্রিনিং এবং ক্যান্সার সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হবে। এতে রাজ্যের দূরবর্তী জেলার ক্যান্সার রোগীদের কলকাতা বা অন্য বড় শহরের হাসপাতালে ছুটে আসার প্রয়োজন অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট এবং প্রতিটি রাজ্যের প্রস্তাবিত তালিকা অনুযায়ী কোথায় কোথায় নতুন সেন্টার হবে, তা চূড়ান্ত করছে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেশন কমিটি (এনপিপিসি)। রাজ্যের এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, 'জেলায় জেলায় যদি ডে কেয়ার সেন্টারগুলি সময়ে চালু হয়, তা হলে বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজেপি বলেন আমাদের জেলার স্বাস্থ্য জেলা নন্দীগ্রামে তৈরি হচ্ছে ক্যান্সার হাসপাতাল। যা সম্পূর্ণ কেন্দ্র সরকারের অর্থে নির্মিত হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেই বিভিন্ন উন্নয়ন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সবথেকে বড় জলপ্রকল্প নন্দীগ্রামেই তৈরি হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় রাজ্য সরকার রাজনীতি করার জন্য নন্দীগ্রামকে জড়িয়ে করে। কিন্তু প্রকৃত উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার কোন ভাবনাই ভাবেনা এই হাসপাতাল তৈরি করার পিছনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অবদান ছাড়া এই ধরনের হাসপাতাল বা নন্দীগ্রাম উন্নয়ন করা যেত না।
No comments