কংসাবতী ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে পাঁশকুড়া-কোলাঘাট এলাকায় বন্যাতঙ্ক!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: সেচমন্ত্রীর গড়পুরুষোত্তমপুরে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ এলাকা পরিদর্শন, নদীবাঁধ পুনর্নির্মাণের বিষয় সহ ব্যারেজ ও নদী সংস্কা…
কংসাবতী ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে পাঁশকুড়া-কোলাঘাট এলাকায় বন্যাতঙ্ক!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: সেচমন্ত্রীর গড়পুরুষোত্তমপুরে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ এলাকা পরিদর্শন, নদীবাঁধ পুনর্নির্মাণের বিষয় সহ ব্যারেজ ও নদী সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ।
এলাকার মানুষের দাবি বর্ষার পরই ব্যারেজ ও নদী সংস্কারের কাজ করতে হবে।গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি ও কংসাবতী ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে কারণে কাঁসাই নদীর জল পাঁশকুড়ার চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যে পাঁশকুড়া ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জনসাধারণকে সর্বদা সতর্ক থাকার বার্তাও দিয়েছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আজ রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুইঞা পাঁশকুড়ায় আসেন। মন্ত্রী গড়পুরুষোত্তমপুরে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন। ওখানে গড়পুরুষোত্তমপুর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা নদীবাঁধ পুনর্নির্মাণ বিষয়ে মন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মানসবাবু স্বভাবসিদ্ধভাবেই রাজ্যকে না জানিয়ে অত্যধিক পরিমাণে জল ছাড়া ও অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিকেই মেদিনীপুরের সাম্প্রতিক বন্যাকেই দায়ী করেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,গত বর্ষায় কাঁসাই নদীবাঁধের জঁদরা-মানুর-গড়পুরুষোত্তমপুর এই তিন জায়গায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে জেলার পাঁশকুড়া-কোলাঘাট-শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়েছিল। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চার মাস ধরে জলবন্দী ছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় গত বন্যার পর এক বছর অতিক্রান্ত হলেও কাঁসাই নদীর জল বহন করা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তর। অন্যদিকে কংসাবতী ব্যারেজ তৈরির পর থেকে সংস্কার করা হয় নি কেন্দ্র ও রাজ্য সেচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নারায়ণবাবুর অভিযোগ,নো কষ্ট পদ্ধতিতে ১৬ কিমি দীর্ঘ গঙ্গাখালি খাল দু বছর কাটার পরও এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। খাল সংস্কারের যদি এই অবস্থা হয়,নো কষ্ট পদ্ধতিতে নদী সংস্কার কি করে হবে?
আমরা চাই,বর্ষার পরপরই রাজ্য সরকার ব্যারেজের জল ধারণ এবং নদীর জল বহন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
No comments