Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শাসক দলের সঙ্গে বন্দরের আধিকারিকদের সেটিং? ১লা আগস্ট থেকে ৫৮০ জন শ্রমিক নো ওয়ার্ক নো-পে হয়ে যাবে- প্রদীপ

শাসক দলের সঙ্গে বন্দরের আধিকারিকদের সেটিং? ১লা আগস্ট থেকে ৫৮০ জন শ্রমিক নো ওয়ার্ক নো-পে হয়ে যাবে- প্রদীপ
হলদিয়া বন্দরের ভিতরে শ্রমিক অসন্তোষ লেগেই রয়েছে। চলতি মাসে প্রায় ৫০ জন শ্রমিকের কাজ চলে যায়। শাসক দলের  নেতৃত্বের তৎপরত…

 


শাসক দলের সঙ্গে বন্দরের আধিকারিকদের সেটিং? ১লা আগস্ট থেকে ৫৮০ জন শ্রমিক নো ওয়ার্ক নো-পে হয়ে যাবে- প্রদীপ


হলদিয়া বন্দরের ভিতরে শ্রমিক অসন্তোষ লেগেই রয়েছে। চলতি মাসে প্রায় ৫০ জন শ্রমিকের কাজ চলে যায়। শাসক দলের  নেতৃত্বের তৎপরতায় শ্রমিক বিক্ষোভ অফিসের চাবিতলা লাগিয়ে কাজ বন্ধ রাখা সেই নিয়েই শ্রমিক সংগঠনের আই এন টি টি ইউ সি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন আমাদের সংগঠনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে  পরিবেশবান্ধব শিল্প বান্ধব গড়ে তুলতে চাই। বারবার তিনি বলেছেন কোন হঠকারিতা আন্দোলন নয় কাজ বন্ধ রেখে সমস্যার সমাধান হয় না। কারখানা থাকলে শ্রমিক থাকবে, শ্রমিক থাকলে কারখানা চলবে। এটাই আমাদের চিরাচরিত স্লোগান একসময় বাম আমলে ধর্মঘট শ্রমিক বিক্ষোভের ফলে বহু শ্রম দিবস নষ্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ২০১১ সালের পর রাজ্যে মা মাটি মানুষের সরকার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা আসার পর একটা সময় দিবস নষ্ট হয়নি। তাই গত কয়েকদিন আগেই বন্দরে কাজ বন্ধ রাখা এবং সংস্থার অফিসের দরজায় ঝান্ডা বেঁধে চাবিতালা লাগানো যে বা যারা করেছিলেন তারা ঠিক করেননি অর্থাৎ নাম না করেই হলদিয়ার দল বদল বিধায়িকা তাপসী মন্ডলকেই বলেছিলেন। বন্দরের কাজ বন্ধ রাখতে গিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক তাপসী‌। তবে বিধায়ক বলেছিলেন তিনি এসেছেন শ্রমিক নেতৃত্ব এবং দলের নেতৃত্বে অনুমতি নিয়ে কারণ শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন সেই জন্যই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করার জন্য। 

গত বুধবার ৮ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিএম অফিসে আইএনটিটিইউসি কোর কমিটির নেতৃত্ব এলাকার বিধায়ক এবং বন্দরের এজেন্সীদের নিয়ে সভা করেছিলেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেই সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১লা আগস্ট থেকে নো ওয়ার্ক নো পে কাজ করবে ওই ৫০ জন ছাটাই শ্রমিক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক মন্ডলী সদস্য  পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন কেন্দ্র সরকার শ্রমকোড চালু করতে চায়। তারই মধ্যে নো ওয়ার্ক নো পে রয়েছে। আগামী দিনে কোন পার্মানেন্ট শ্রমিক রাখা যাবে না তারই মধ্যে রয়েছে সেই শ্রমকোড। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে লোক দেখানো প্রতিবাদ করছেন কিন্তু ভিতরে ভিতরে কেন্দ্র সরকারের বিজেপির সঙ্গে সেটিং হয়ে এই শ্রম কোড চালু করার জন্য চেষ্টা করছেন। সেটা আমরা কখনোই করতে দেব না। আমরা নয় জুলাই সাধারণ ধর্ম ঘটে মধ্য দিয়ে আমরা সেই বার্তা দিয়েছি। আমরা শ্রমিকদের পাশে রয়েছি। ভারতীয় মজদুর সংঘ রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন নো ওয়ার্ক নো পে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না । বন্দরের ভিতরে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলেই তাদের বাধ্যতামূলক ই এস আই এবং পিএফ করতে হয়। ২৬ টা হাজিরা না হলে তারা ইএসআই এর কোন ফ্যাসিলিটি পাবে না। তাহলে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যায় পড়বে এবং তিনি আরো বলেন আমরা যতটা জানতে পেরেছি শাসক দলের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ওই সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছে ৫০ জন নয় ৫৮০ জন শ্রমিক নো ওয়ার্ক নো পে ১লা আগস্ট থেকে শুরু করবে। শ্রমিকদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলে খেলা নিয়ে করছেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব । আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি অনেক শ্রমিক আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো। এই মুহূর্তে কোন শ্রমিক যাতে তারা কোন মামলা তুলে না নেন তার পরামর্শ দিলেন।

No comments