তমলুকে নবনির্মিত আধুনিক সভাকক্ষ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার!
কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বললেন, পেনশনে ওরা মাত্র ২০০ টাকা দেয়, বাকিটা দেয় রাজ্য সরকার। চাইলে আমার নামে মামলা করুন! তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো…
তমলুকে নবনির্মিত আধুনিক সভাকক্ষ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার!
কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বললেন, পেনশনে ওরা মাত্র ২০০ টাকা দেয়, বাকিটা দেয় রাজ্য সরকার। চাইলে আমার নামে মামলা করুন! তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে উদ্বোধন হল একটি আধুনিক সম্মেলন কক্ষ ও পরিচালক মন্ডলীর নতুন সভাকক্ষের। ফিতে কেটে এই নবনির্মিত কক্ষের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সমবায় ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “সমবায় মূলত দুটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে— স্বশাসন এবং স্বয়ংবরতা। এই দুটি গুণ ছাড়া প্রকৃত অর্থে সমবায় ব্যবস্থা গড়ে ওঠে না।”
এর পাশাপাশি, পেনশন প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকার পার্থক্য নিয়েও তীব্র ভাষায় কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পেনশন প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যূনতম হাজার টাকার নিচে কোন পেনশন হতে দেন না। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ২০০ টাকা দেয়। বাকি ৮০০ টাকা রাজ্য সরকার দেয়। যারা বলে কেন্দ্রীয় সরকার বেশি টাকা দেয়, তারা মিথ্যে বলছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি— চাইলে আমার নামে মামলা করুন। আমার নাম প্রদীপ মজুমদার।
এই বক্তব্য ঘিরে উপস্থিত জনতার মধ্যে উত্তেজনা এবং করতালির ঝড় ওঠে। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের একাধিক আধিকারিক ও কর্মচারীরা।
এই আধুনিক সম্মেলন কক্ষ ও সভাকক্ষ চালু হওয়ায় ব্যাংকের প্রশাসনিক এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। পাশাপাশি, আধুনিক পরিকাঠামোর এই সংযোজন রাজ্যের সমবায় ব্যবস্থার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
No comments