জেলা পরিষদের জায়গা অবৈধ নির্মাণ, তদন্তে কর্তৃপক্ষ!পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত হাইরোড। এই রাস্তার উত্তর এবং দক্ষিণে জেলা পরিষদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু জায়গা রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ মোড় দোকান ব্যবসা…
জেলা পরিষদের জায়গা অবৈধ নির্মাণ, তদন্তে কর্তৃপক্ষ!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত হাইরোড। এই রাস্তার উত্তর এবং দক্ষিণে জেলা পরিষদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু জায়গা রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ মোড় দোকান ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বৎসর লিজ দেওয়া হয়। এবং লিজে শর্ত অনুযায়ী প্রায় ৩২ টি শর্ত রয়েছে। কিন্তু সেই ৩২ টি শর্ত কি লিজ হোল্ডাররা মেনে চলেন? কিন্তু অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি আমলা বলছেন কখনোই ৩২ টি শর্ত মেনে চলেন নি এই সকল লিজ হোল্ডাররা। রাস্তা বেড়েছে কিন্তু যে সকল জেলা পরিষদের জায়গার উপর লিজ নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তাদের নিজস্ব জায়গা কোথায়। তারা খরিদ্দারকে দাঁড় করাতে হলেই রাস্তার উপরে করতে হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বালুঘাটা থেকে একদম কুকড়াহাটি পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী রো রো ভেসেল চালু হলে এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে । ইতিমধ্যে আইনি জটিলতা কাটিয়ে চৈতন্যপুর কুকড়াহাটি যাওয়ার রাস্তা বেশ কয়েক বছর আটকে ছিল সেই জটিলতা কাটিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এখন বড় প্রশ্ন সরকারের নিয়মে রয়েছে রায়ত জায়গার সামনে কোন রকমে অসাধু ব্যবসায়ী করতে দেওয়া যাবে না। রায়ত জায়গার সামনে যদি জেলা পরিষদের জায়গা থাকে তাহলে রায়ত জায়গার মালিক যদি ওই জায়গা লিজ নিতে চায় তাদেরকে প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হয়। সূত্রে জানা যায়, 2022 চৈতন্যপুর নিউমার্কেট দোকানদাররা পিছনের রায়ত জায়গা যাদের ছিলেন তারা বাড়ি করেছিলেন বেরোতে পারছিলেন না। সরকারের পক্ষ থেকে সেই সকল দোকানগুলি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এখনো বহু জায়গা রয়েছে সেই জায়গা রায়ত জায়গার মালিক তারা বের হতে পারছে না। তাহলে কি জেলা পরিষদ যখন লিজ দেয় এইগুলি কি দেখে লিজ দেন না। শুধু নিজের টাকাটাই কি বড়। মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখার দায়ভার শাসক দলের লোকাল প্রশাসন থানা পঞ্চায়েত জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের জায়গাতে কোন পার্মানেন্ট বিল্ডিং করা যাবে না একটি লেখা থাকা সত্ত্বেও বিশেষ করে ব্রজলালচক হাই রোড মোড় এলাকায় দুতলা তিন তলা বিল্ডিং হয়ে যাচ্ছে কাদের ইন্ধনে প্রকৃত জায়গার রায়ত যারা রয়েছেন তারা সরকারের কাছে বারে বারে অভিযোগ জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। কাদের অঙ্গুলি হিলণে এই অরাজকতা। সুযোগ পেলে জেলা পরিষদের জায়গা লিজ নিতে নিতেই হয়তো একদিন তাদের রায়ত জায়গাতেই পরিণত হবে। আর মানুষের রাস্তা যাওয়া আসা দিন দিন সভ্যতা বাড়ছে। কোভিডরের পর থেকে স্কুটি মোটরবাইক সাইকেল সংখ্যা বেড়েছে । আর যদি রাস্তার দখল করে এই সকল ব্যবসা-বাণিজ্য করে রাস্তা সম্প্রসারণ হওয়ার পর রাস্তার উপরেই অসাধু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চলে লোকাল প্রশাসন যদি মুখে কুলুপ আটে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। তবে সব প্রশাসনের আধিকারিক সমান নয় অনেকেই তীব্র প্রতিবাদ করলেন তবে জেলা পরিষদের জায়গা জেলা পরিষদ যদি নড়ে চড়ে না বসেন তাহলে সমব্যথী থাকলেও করার কিছু থাকবে না তাই এলাকার মানুষের দাবি লিজ দেওয়া হোক নিয়ম মেনে বৈধতা দিয়ে। তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে যখনই জায়গা প্রয়োজন হবে তাহলে কোন সমস্যা হবে না।
No comments