শিল্পের জমির ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বাংলায়। শালবনিতে জিন্দাল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প দিয়ে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার কিছুদিনের ম…
শিল্পের জমির ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বাংলায়। শালবনিতে জিন্দাল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প দিয়ে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে ফের ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে। বুধবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের অধীন শিল্পতালুকগুলিতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থাকে এদিন দশটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লট প্রদানে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী, দুর্গাপুর মাঙ্গাপুর, বর্ধমানের পানাগড় প্রভৃতি। মোট ২,৫১৫ একর এই জমিতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হবে ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান। এই দশটি প্লটের মধ্যে অধিকাংশ জমিতেই গড়ে উঠবে ইস্পাত শিল্প।
শিল্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও এদিন বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। বিশ্বমানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য নিউটাউনে ২৫ একর জমির উপর পিপিপি মডেলে ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল পার্ক (আইটেক) গড়ে তোলা হবে। এর বাংলা নামকরণ হয়েছে ‘বিশ্ব অঙ্গন’। ওইসঙ্গে ক্ষুদ্র শিল্প নিয়েও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। ১৫টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে ৪৩টি ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিট গড়ার ছাড়পত্রও এদিন দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে ক্ষুদ্রশিল্প ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ হবে কয়েক কোটি টাকা এবং উপকৃত হবে কমবেশি প্রতিটি জেলা। ইতিমধ্যে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে বাংলায় ৯০ লক্ষ ইউনিট গড়ে উঠেছে। সেখানে কাজ করে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য প্রতিটি জেলা সদরে পিপিপি মডেলে একটি করে শপিং মল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। জমি তারাই দিচ্ছে। ২৩টির মধ্যে ১১টি জেলায় জমি বণ্টনের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিনও কয়েকটি জেলার জন্য জমির ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যে পুরুলিয়া, দার্জিলিং, বাঁকুড়া, কোচবিহার, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই ধরনের মল নির্মাণের জমির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দীঘায় যেহেতু জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে, তাই সেখানেও একটি এই ধরনের বাজার বা মল তৈরি হবে। জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
উত্তরবঙ্গে বিনিয়োগ টানতে আগাগোড়াই সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার রাজারহাট ও দীঘার পরে শিলিগুড়িতেও একটি কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে। ঘোষণা মমতার।
No comments