সোয়াদিঘী খাল সংস্কারে কাজের হাল-হকিকত দেখতে ঝটিকা সফরে জেলাশাসক! বর্ষার পূর্বেই সোয়াদিঘী থেকে অন্তত রামতারক পর্যন্ত পূর্ণ সংস্কারের দাবী।সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক: নানাভাবে অভিযোগ আসছিল-তমলুক মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ সোয়াদিঘী …
সোয়াদিঘী খাল সংস্কারে কাজের হাল-হকিকত দেখতে ঝটিকা সফরে জেলাশাসক!
বর্ষার পূর্বেই সোয়াদিঘী থেকে অন্তত রামতারক পর্যন্ত পূর্ণ সংস্কারের দাবী।
সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক: নানাভাবে অভিযোগ আসছিল-তমলুক মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ সোয়াদিঘী খাল সংস্কারের জন্য ডব্লিউ বি এম ডি টি সি এল নিযুক্ত পালিত ব্রিক ফিল্ড নামে এজেন্সির কাজের গতি নিয়ে। গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিক থেকে খাল সংস্কারের কাজ শুরু হলেও এখনো এক কিলোমিটার অংশও পূর্ণাঙ্গভাবে সংস্কার হয়নি। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার অংশ যত্রতত্র ঠিকাদার কিছু না কিছু মাটি তোলার কাজ করেছে। ফলে আগামী বর্ষার পূর্বে ওই কাজ কতটা হবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি ২২শে মে জেলা শাসক ও সেচ দপ্তরে বিক্ষোভ-ডেপুটেশনের ডাক দিয়েছে। ওই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার জেলা শাসক ঠিকাদার সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছে। অবশেষে উনি খাল সংস্কারের হাল হকিকত সরজমিনে খতিয়ে দেখতে বেলা ১১:৪৫ টায় ঝটিকা সফরে রামতারকে আসেন। ছিলেন মাত্র ১৫ মিনিট। জাতীয় সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়েই সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার,ঠিকাদারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পরিদর্শনের টিমে জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজী ছাড়াও ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক(উন্নয়ন)নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়,সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সরকার,তমলুকের মহকুমা শাসক,সেচ দপ্তরের তমলুকের এসডিও,শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও প্রমুখেরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির নেতৃত্ব অশোক মাইতি,নিবাস মানিক। জেলাশাসক ঠিকাদারকে খাল কাটার মেশিনের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাঁকটিয়া দূর্গামন্ডপ থেকে রামতারক পর্যন্ত অংশটি পূর্ণ সংস্কারের কাজ শেষ করার পাশাপাশি রামতারকে জাতীয় সড়কের ব্রীজের নিচে আবর্জনা সহ জমে থাকা মাটি অবিলম্বে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির উপদেষ্টা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও সম্পাদক মধুসূদন বেরা বলেন, বর্ষা আসতে আর প্রায় পৌনে একমাস বাকি। এই সময়ের মধ্যেই খাল কাটার জন্য নিযুক্ত মেশিন সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়ে সোয়াদিঘী থেকে অন্তত রামতারক পর্যন্ত অংশ পূর্ণ সংস্কার করতে হবে। ওই দাবী সহ সোয়াদিঘী লকগেটের সাটার তোলা-ফেলার জন্য বৈদ্যুতিকরণ,লকগেট থেকে রূপনারায়ন নদী পর্যন্ত সোজাসুজিভাবে খনন প্রভৃতি দাবীতে আগামী ২২শে মে জেলাশাসক ও সেচ দপ্তরে বিক্ষোভ-ডেপুটেশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
No comments