সিঁদুর অপারেশনের বীর জোয়ানের সম্মান জয় করে পদক নিয়ে ফিরলেন হলদিয়ায় হরেকৃষ্ণ! বাবার কৃতিত্ব অনুপ্রাণিত হয়ে ছেলেও যুক্ত হতে চায়- অয়ন!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহর হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত ব…
সিঁদুর অপারেশনের বীর জোয়ানের সম্মান জয় করে পদক নিয়ে ফিরলেন হলদিয়ায় হরেকৃষ্ণ! বাবার কৃতিত্ব অনুপ্রাণিত হয়ে ছেলেও যুক্ত হতে চায়- অয়ন!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহর হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত বড়বাড়ি গ্রামে বাসিন্দা, হরে কৃষ্ণ মাইতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দিলেন। ভারতের সিঁদুর অপারেশন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতের সেনাবাহিনী জোয়ান বাড়ি ফিরতেই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। হলদিয়া বড়বাড়ি নিজের বাড়িতেই সিঁদুর অপারেশন অভিযানের সময় যুক্ত ছিলেন হরে কৃষ্ণ মাইতি পিতা প্রয়াত প্রদীপ মাইতি। হরে কৃষ্ণ ছিলেন ইন্ডিয়ান রেডার অপারেটর তিনি বাড়ি ফিরতেই সম্বর্ধনা দেওয়া হয় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন হরে কৃষ্ণ মাইতি। স্ত্রী ও একছেলে এক মেয়ে বর্তমান।
২০০৩ সালে ১৮ ই জানুয়ারি তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন তিনি ১৫ -১৬ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ফিরে আসতে চাইছিলেন কিন্তু কাকা তপন মাইতি তিনি বুঝিয়েছিলেন সেনাবাহিনী ছেড়ে এসে কোন লাভ হবে না । কাকার কথায় তিনি রয়ে গিয়েছিলেন আর সম্প্রতি সিঁদুর অপারেশনের রেডার অপারেটর হিসেবে তিনি কাজ করে সিঁন্দুর অপারেশনের জয়মাল্য পদক নিয়ে ফিরলেন হলদিয়া বড়বাড়ি নিজের গ্রামে। এই জয়ে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সকল সদস্য এবং গ্রামবাসী গর্বিত। তবে ছেলে অয়ন মাইতি জানালেন বাবা স্থলপথে থেকে যুদ্ধ করেছেন তিনিও ভারত মায়ের সন্তান তাই ভারতকে বিদেশী শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে তিনি (আকাশ পথে) ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে যোগদান করতে চান। কিন্তু মেয়ে-হেনা মাইতি বর্তমানে স্কুলে পড়ে তবে তিনি কিন্তু ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অপারেশনের শেষ যুদ্ধ ১০ই মে শেষ হতেই তিনি ছুটি পেয়ে আজ বড়বাড়ি নিজের গ্রামে ফিরলেন জয়মাল্য পরিয়ে দিলেন তাদের পরিবারের সহ ওই এলাকার মানুষজন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। তাকে আজ সম্বর্ধিত করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের দাঁড়িয়ে সিঁদুর অপারেশনের ইতিহাস বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কিন্তু তিনি গর্বিত নিজেকে সম্মানিত করলেন এবং তিনি বললেন যারা বর্ডারে আমাদের মতো জোয়ানরা রয়েছেন বলেই ভারতবাসী আজ নিরাপদে রয়েছেন ।তবে আমি যখন যুদ্ধে যাই আমি একটাই ভেবেছিলাম যে আমার পরিবারকে বাঁচাতে হবে , ভারত মায়ের সন্তানদের বাঁচাতে হবে।আর সেজন্যই এই যুদ্ধে আমাকে জয় লাভ করতেই হবে। তিনি যখন যুদ্ধে রয়েছেন তাদের মাথার উপর থেকে ৭ ই মে পাকিস্তানের হাজার হাজারে ড্রোন উড়ে আসছিল সেই সময় কিন্তু যদি একটি বোম ওদের ওইখানে পড়তো একসঙ্গে ৪৫ জন ক্যাডার কিন্তু শহীদ হতেন সেই সময়ে যে অনুভূতির কথা তিনি বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন। তিনি বললেন আমি পুনর্জন্ম পেয়েছি। আমরা সকল আর্মি আমরা আজ গর্বিত সম্মানিত। তপন মাইতি ভাইপোর এই জয়ের উল্লাসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তবে তিনি জানালেন এ কান্না ভাইপোকে উৎসাহিত করার জন্য এ কান্না জয়ের কান্না। তবে স্ত্রী সুস্মিতা মাইতি বলেন যুদ্ধের আগে ও পরে ফোন করতাম। আর যুদ্ধের সময় আমরা প্রত্যেকটা দিন টিভির দিকে তাকিয়ে থাকতাম আমরা একটাই প্রার্থনা করতাম সকলে ভালোভাবে ফিরে আসুক এই যুদ্ধকে জয় করে। স্বামীর এই কৃতিত্বে তিনিও গর্বিত বোধ করলেন।
No comments