Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কাঁসাইয়ের নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে নির্মাণের দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন!

বর্ষার পূর্বে কেলেঘাই নদী ও সোয়াদিঘী সহ বিভিন্ন নিকাশী খাল সংস্কারের গতিবৃদ্ধি এবং ভেঙে যাওয়া কাঁসাইয়ের নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে নির্মাণের দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন!সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক:  রাজ্য…

 




বর্ষার পূর্বে কেলেঘাই নদী ও সোয়াদিঘী সহ বিভিন্ন নিকাশী খাল সংস্কারের গতিবৃদ্ধি এবং ভেঙে যাওয়া কাঁসাইয়ের নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে নির্মাণের দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন!

সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক:  রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তমত নো কষ্ট পদ্ধতিতে খনিজ দপ্তরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড(ডব্লিউ বি এম ডি টি সি এল)কর্তৃপক্ষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কেলেঘাই নদী ও সোয়াদিঘী,গঙ্গাখালি দুটি বড় খাল সংস্কার করছে। অন্যদিকে ঐ একই পদ্ধতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ পায়রাটুঙী-দেনান-টোপা-জয়গোপাল সহ বেশ কয়েকটি ছোট-বড়-মাঝারি খাল সংস্কারে হাত দিয়েছে। কিন্তু নানা সমস্যা ও গড়ি-মসির কারণে সংস্কারের কাজের গতি খুবই শ্লথ। বর্ষা আসতে আর মাত্র ১৭ দিন বাকি। এছাড়াও গত বর্ষার সময় কাঁসাইয়ের নদীবাঁধের যে অংশগুলি ভেঙে গিয়েছিল,সেই ভাঙা অংশগুলিতে বাঁধার কাজও চলছে ধীরগতিতে। ফলস্বরূপ আগামী বর্ষায় একটু বেশী বৃষ্টি হলে ফের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জলবন্দী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেচ দপ্তরের কার্টিং চার্ট অনুসারে দ্রুত নদী ও খালগুলি সংস্কারের কাজের গতি বাড়ানো,সোয়াদিঘী সহ বিভিন্ন বড় লকগেটের সাটার বর্ষার পূর্বে মেরামত ও তোলা-ফেলার জন্য বৈদ্যুতিকীকরণ,কাঁসাইয়ের মানুর-জঁদরা-গড়পুরুষোত্তমপুর সহ বিভিন্ন ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে অবিলম্বে নির্মানের দাবীতে সম্প্রতি জেলা শাসক ও সেচ দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও বিশেষ কোন কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় অবশেষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি আজ ২২শে মে জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ও ১৫ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি ডেপুটেশনের মাধ্যমে জমা দেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় নিমতৌড়ি বাসস্ট্যান্ড  থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে জেলা শাসক অফিসে আসেন। ডিএম অফিসের গেটে একটি বিক্ষোভ সভা করে বিক্ষোভকারীরা। জেলার নানা প্রান্ত থেকে আগত বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য  রাখেন ওই সভায়। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি সংস্কার)বৈভব চৌধুরী,জেলা পরিষদের সচিব সৌম্য  চট্টোপাধ্যায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কমিটির পক্ষে  নারায়ণ চন্দ্র নায়ক,মধুসূদন বেরা,উৎপল প্রধান,সূর্যেন্দু বিকাশ পাত্র,অরূপ সি,নিবাস মানিক প্রমুখ। পরে ওই প্রতিনিধিদল সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিক মানস চক্রবর্তী, তমলুকের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সরকারকে স্মারকলিপি দেন।    

            কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও জগদীশ সাউ ও সভাপতি উৎপল প্রধান জানান,গত বর্ষার পর জেলা শাসক ও সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিকেরা কয়েকটি নিকাশী খাল পরিদর্শনের পর জেলাস্তরে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জেলার ১৩ টি খাল সংস্কারের উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয়,এখনো পর্যন্ত একটি খালও পূর্ণ সংস্কার তো দূরের কথা,অর্ধেক অংশও সংস্কার হয়নি। ওই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি,সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতি,কৃষক সংগ্রাম পরিষদ সহ কমিটির বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। গত বর্ষায় 

 ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সহস্রাধিক বানভাসি ও জলবন্দী এলাকার মানুষজন কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিক্ষোভ সভায় নারায়ণবাবু ঘোষণা করেন,আগামী বর্ষার পূর্বে উক্ত দাবীগুলি পূরণে জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তর  কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।  



No comments