ব্রজলালচক হাই রোডে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করে তা সম্প্রসারণের দাবি করলেন- শ্রীকান্ত!প্রশাসনের নজরদারির অভাবে জেলা পরিষদের জায়গায় গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা এলাকায় জেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায়…
ব্রজলালচক হাই রোডে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করে তা সম্প্রসারণের দাবি করলেন- শ্রীকান্ত!
প্রশাসনের নজরদারির অভাবে জেলা পরিষদের জায়গায় গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা এলাকায় জেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদের।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/e_M8r2yigCg?si=XRyi1t6e08a2CgnG
সেই সকল জায়গা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারি জায়গা ভরাট করে ব্যবসা করছে। হেলদোল নেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত ব্রজলাল চক হাই রোড মোড় এলাকা কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। জেলা পরিষদের নজরদারি না দেওয়ার জন্য সেই সকল জায়গায় জবর দখল করে অবৈধ নির্মাণ চলছে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো কাজ এমনই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। হলদিয়া ব্রজলালচক, শিল্পশহর হলদিয়া প্রবেশদ্বার বালুঘাটা থেকে কুকড়াহাটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে সুন্দর রাস্তা। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে রাস্তার ধারেই লাগানো হয়েছে স্ট্রিট লাইট। শিল্প শহরের অন্যতম ব্যস্ত মোড় হলদিয়া ব্রজলালচক হাই রোড। একদিকে মেডিকেল কলেজ, কলেজ ,স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার হলদিয়া থেকে কলিকাতা যাওয়ার সব থেকে কম সময়ের যাওয়ার এই রাস্তা। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম এই রাস্তা। এই রাস্তার ধারেই জেলা পরিষদের জায়গা রয়েছে, সেই জায়গা প্রশাসনের তদারকির অভাবে রাস্তার উপরে ইমারতী ব্যবসা যাদের কে লিজ দেওয়া হয়েছে সেই লিজের পাশেই সরকারি রাস্তা। রাস্তার উপরে ব্যবসায়ী গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে এবং সবথেকে বড় বিষয় প্রতি এক বছর দু বছর অন্তর লিজ দেওয়া হয় কিন্তু সেই জায়গা উপরে তৈরি হচ্ছে একতলা তিন তলা, বিল্ডিং কিন্তু সেই লিজ এগ্রিমেন্ট পেপারে উল্লিখিত রয়েছে ওই নিজের জায়গার উপর কোন পার্মানেন্ট বিল্ডিং করা যাবে না। এগ্রিমেন্ট পেপার কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বদের অঙ্গুলী হিলনে তৈরি হচ্ছে এই ধরনের অট্টালিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ওই জায়গার পিছনে রায়ত জায়গার মালিক গণ। তার ফলে ই দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। রায়ত মালিক উচ্চ আদালতে জার্হস্থ্য হচ্ছেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের নিয়ম মেনেই কিছু না দেখেই এলাকা পরিদর্শন করেই চলে যাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ তুললেন ব্রজলালচক হাই রোড চৈতন্যপুররোড। ব্রজলালচক গ্রামের ২০৬৯ দাগের আবেদনকারী শুভেন্দু ভূঁইয়া। তিনি বলেন রাস্তার ধারে আমার রায়ত একটি পুকুর রয়েছে এবং আমার পুকুরের সামনে অর্থাৎ একদম রাস্তার ধারেই ২০৬৮ নম্বর দাগে একটি পুকুর সেই পুকুরের উপরে ভোদাটা করে বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। জেলা পরিষদের পুকুরের উপর যদি বিল্ডিং করা হয় ভরাট করে তাহলে বর্তমান আর্থিক অবস্থা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আমার ওই জায়গাটি ভরাট করে ব্যবসা করি চাই । কিন্তু আমার কোন যাতায়াতের বারাম না থাকায় আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এবং স্থানীয় প্রশাসন জেলা পরিষদের আবেদনকরি। তিনি বলেন আমরা শুনেছি রায়ত জায়গার সামনে সরকারি জায়গা যদি থাকে সেই জায়গা লিজ বা ঐ জায়গার ব্যবহারকারী বারাম একমাত্র সেই রায়ত জায়গার মালিকই পেতে পারে । কিন্তু ব্রজলালচক হাই রোড এলাকা তা হয়েছে উল্টো। তিনি আরো বলেন নবেন্দু বাবুর উকিল হাইকোর্টে তিনি জানিয়েছেন ২০২২ সালে ১৩ ই জুন তিনি জেলা পরিষদের কাছ থেকে লীজ নিয়েছেন। আমি ২০১৭ সালে জায়গা কিনে লিজের আবেদন করি কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি। তাহলে নরেন্দু বাবু বলছে দীর্ঘ ৪০ বছর ব্যবসা করছি। তাহলে লিজ ফাকি দিয়ে ব্যবসা করছেন ? জেলা পরিষদের লিজ হোল্ডার নবেন্দু ভূঁইয়া বলেন আমরা প্রায় দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই রাস্তার ধারেই ব্যবসা করছি। আমরা জানতাম না এটা জেলা পরিষদের জায়গা অন্য এক ব্যক্তি ঘর করেছিলেন সেখান থেকে আমাদের এই ভাড়া নেওয়া পরে যখন আমরা জানতে পারি আমরা তখন জেলা পরিষদের কাছ থেকে এই জায়গা লিজ নিয়েছি। তবে তিনি বলেন বর্তমান যে লিজ নিয়ম রয়েছে লিজের যা কন্ডিশন সবকিছু মেনেই করেছি। স্থানীয় পথচারী অপরেশ বৈতালিক বলেন এই এলাকায় জেলা পরিষদের জায়গায় নিয়ম মেনে কেউ বিল্ডিং করেন নি। প্রত্যেক দোকানে ক্রেতা এলে তাদের কে রাস্তার উপর মোটরবাইক সহ মানুষকে দাঁড়াতে হয়। তার ফল এই শুরু হয় যানজট। এবং ওই এলাকার ৬৮নং বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অরুণ কপাট তিনি বলেন লিজ মেনে ব্রজলালচক এলাকায় কেহ ব্যবসা করেননি । পঞ্চায়েত সদস্য তিনি প্রথমেই বললেন জেলা পরিষদের জায়গা তিনি কিনেছেন। জেলা পরিষদের জায়গা কি কেনা যায়? নবেন্দু বাবু যেটা বলছে সেটাও ঠিক না। লিজের এগ্রিমেন্ট পেপারে পরিষ্কার জানানো রয়েছে পার্মানেন্ট কোন ব্যবসা ওই লিজের জায়গায় বিল্ডিং করা যাবে না। চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোসলেম সা বলেন এটি জেলা পরিষদের জায়গা আমরা পঞ্চায়েতে কিছুই বলতে পারি না। জেলা পরিষদের নজরদারির অভাবেই এই ধরনের বহু বিল্ডিং হয়ে যাচ্ছে। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্রীকান্ত মাইতি তিনি বলেন বর্তমান রাজ্য সরকারের যা উন্নয়নের লক্ষ্য আগামী দিন শিল্পশহর হলদিয়া আরো গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে কুকড়াহাটি থেকে রায়চক রো রো ভেসেল চালু হলে মানুষের অর্থনৈতিক বাড়বে কম সময়ের হলদিয়া থেকে কলকাতায় মানুষ পৌঁছে যাবেন তখনই এই রাস্তার গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে। তবে আমরা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান নজরে এনেছি। ব্রজলালচক সংলগ্ন জেলা পরিষদের যে জায়গা গুলি রয়েছে সেগুলি অবিলম্বে সরকারি আওতায় নিয়ে আসা না হলে দিনের পর দিন যেভাবে বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে জেলা পরিষদের লিজের এগ্রিমেন্ট কে মান্যতা না দিয়েই । আগামী দিনে এই রাস্তা সম্প্রসারণ এর ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তবে তিনি স্বীকার করে নিলেন আমরা দেখছি অনেক অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে কিন্তু এটা জেলা পরিষদের জায়গা একমাত্র জেলা পরিষদই এগ্রিমেন্ট প্রতি দু'বছর এক বছরের জন্য দিয়ে থাকেন তাহলে এই ধরনের বিল্ডিং কেন হচ্ছে। এই জায়গার তদারকি করার দায়িত্ব জেলা পরিষদের। এলাকার মানুষের ক্ষোভ এলাকার এই ধরনের যদি অবৈধ নির্মাণ রাস্তার ধারেই জেলা পরিষদের জায়গা বলেই এক বছর দু'বছর লিজ নিয়ে বিল্ডিং তৈরি হয়ে যায় আগামী দিনে রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গেলে সমস্যায় পড়বে প্রশাসন অবিলম্বে লিজ দেওয়ার আগে সেই জায়গা এবং তাদের রায়ত জায়গা কতটা রয়েছে। ওই জায়গা শ্রেণী চরিত্র কি রয়েছে সেটা দেখে লিজ দেওয়া প্রয়োজন। ক্ষেত্রে লিজের সামান্য টাকা কিসের উন্নয়নে লাগছে সেটাও আমরা জানি না। এখনো বহু মানুষ জেলা পরিষদের জায়গার উপর বসে রয়েছেন লিজ না নিয়ে ওই জায়গা । অবিলম্বে জেলা পরিষদের জায়গা থেকে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করে এই ব্যস্ততম রাস্তা সম্প্রসারণ করার আগামী দিনে উন্নয়নে এই এলাকার সরকারের বহুমুখী বাস্তবায়িত করার সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আবেদন করছি।
No comments