হলদিয়া সার কারখানার পরিত্যক্ত জমিতেই নতুন পালক হলদিয়া বন্দরের মুকুটে নতুন পালক। গড়ে উঠতে চলেছে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা বা স্পেশাল ইকোনমিক জোন (সেজ)। জানা গেছে হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন বা এইচএফসির পরিত্যক্ত জমিতেই এই সেজ …
হলদিয়া সার কারখানার পরিত্যক্ত জমিতেই নতুন পালক
হলদিয়া বন্দরের মুকুটে নতুন পালক। গড়ে উঠতে চলেছে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা বা স্পেশাল ইকোনমিক জোন (সেজ)। জানা গেছে হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন বা এইচএফসির পরিত্যক্ত জমিতেই এই সেজ গড়ে তুলতে চলেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০০২ সালে চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় এইচএফসি। তারপর থেকে পরিত্যাক্ত ছিল ওই এলাকা। বন্দর সূত্রে জানা গেছে বন্দরের জমিতেই গড়ে উঠেছিল ওই সার কারখানা। সার কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই জমি বন্দর ফেরত চেয়েছিল নিজেদের হাতে। অন্যদিকে হলদিয়ায় অবস্থিত আরেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওই জমির দাবিদার হয়েছিল। তারা চেয়েছিল ওই জমিতে তাদের বর্ধিত একটি ইউনিট স্থাপন করতে। শেষ অবধি বন্দরের দাবি গৃহীত হয়। আর তারপরই বন্দর ওই জমিতে সেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে মোট ১১টি মৌজার ২১৪ একর জমি রয়েছে ওখানে। এই জমি লাগোয়া একটি বিস্তৃত অংশ জুড়ে রয়েছে হলদি নদীর মোহনা যা জলপথে সরাসরি প্রস্তাবিত সেজ অঞ্চলে পন্য পরিবহনের সহায়ক হবে। হলদিয়া বন্দরের এক কর্তা জানান, 'মহারাষ্ট্রের জহরলাল নেহেরু বন্দরের আদলে একটি সেজ গড়ার প্রকল্প আমাদের আগে থেকেই ছিল কিন্তু ওই জমি নিয়ে আমরা সমস্যায় ছিলাম। কেন্দ্রীয় রাসায়নিক মন্ত্রক ওই জমি জাহাজ মন্ত্রককে ফেরত দেওয়ার পর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওই জমি চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম ওই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকে জমি দিলে বন্দরের কোনো লাভ নেই। কারণ ওই সংস্থা বন্দর মারফত তেমন কিছু করে না। বরং আমরা যদি ওই এলাকায় সেজ গড়ি তাহলে ওই সেজ এলাকায় বরাত পাওয়া বানিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দর মারফতই পন্য আদান প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। আমরা ওই শর্তেই সেজ এলাকায় শিল্প বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে জমি লিজ দেব। এরফলে বন্দরের আয় বাড়বে। এলাকার মানুষেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।'
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই সেজ গড়ার আবেদন করেছেন ভিত্তিতে 'ডেভেলপমেন্ট কমিশনার অফ স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন' এর নিকট। সেই আবেদন খতিয়ে দেখতে একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তাদের সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেজ গঠনের জন্য হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং) মানস মণ্ডলকে নোডাল অফিসার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বন্দরের তরফে। তিনি বলেন, 'বন্দরের লভ্যাংশ বৃদ্ধি ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেজ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'
No comments