সিন্দুর অপারেশনের সেনানী হরেকৃষ্ণকে বীরের সম্মানে বরণ হলদিয়ার কাশ্মীর থেকে সিন্দুর অপারেশনের সেনানী হরেকৃষ্ণ মাইতি বাড়ি ফিরতেই তাঁকে বীরের সম্মানে বরণ করল হলদিয়া। হলদিয়ার বড়বাড়ি গ্রােমে একচল্লিশ বছরের যুবক হরেকৃষ্ণ ভারতীয় সেনাবাহ…
সিন্দুর অপারেশনের সেনানী হরেকৃষ্ণকে বীরের সম্মানে বরণ হলদিয়ার
কাশ্মীর থেকে সিন্দুর অপারেশনের সেনানী হরেকৃষ্ণ মাইতি বাড়ি ফিরতেই তাঁকে বীরের সম্মানে বরণ করল হলদিয়া। হলদিয়ার বড়বাড়ি গ্রােমে একচল্লিশ বছরের যুবক হরেকৃষ্ণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের এক জওয়ান। রেডার অপারেটর হিসেবে কাশ্মীরের জম্মু এয়ারবেসে দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফেরার পর বড়বাড়ির বীর সন্তানকে নিয়ে রবিবার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। এদিন বিকেলে স্থানীয় শিশু উদ্যানে ওই জওয়ানকে সংবর্ধনা দেন দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে চাউলখোলা অলস্টার ক্লাব, ব্রাইট ফিউচার ক্লাব, নেতাজি স্মৃতি সঙ্ঘ, মনোহরপুর সুভাষ স্পোর্টিং ক্লাব, আলাপন সঙ্ঘ, মহিলা কমিটি, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সুতাহাটা-হলদিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের মতো ১২টি সংগঠনের তরফে ফুলের মালা, উত্তরীয়, স্মারক, মিষ্টি তুলে দেওয়া হয় বীর জওয়ানের হাতে। অলস্টার ক্লাবের সম্পাদক তথা শিক্ষক অনুপকুমার পাঁজা বলেন, এদিন বীর জওয়ান হরেকৃষ্ণকে ৭৫ ফুট জাতীয় পতাকা নিয়ে সম্মান জানান গ্রামবাসীরা। তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। তাঁর বীরত্বের কাহিনি মন দিয়ে শুনেছেন আট থেকে আশি সকলে। গ্রামের মহিলারা তাঁর জন্য নিজে হাতে মালা গেঁথে এনেছিলেন। এই ঘটনায় আপ্লুত জওয়ান হরেকৃষ্ণ। ২০০৩ সালে ক্লাস টুয়েলভে পড়তে পড়তে তিনি যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে। তারপর ২৩ বছর কেটেছে ভারতের নানা প্রান্তে। এদিন আবেগাপ্লুত জওয়ান বলেন, এমন ধরনের একটি যুদ্ধে যোগ দেওয়া যে কোনও সেনার কাছেই গর্বের। এমন যুদ্ধের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত।
No comments