Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অমৃত ভারত' স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধুঁকছে

অমৃত ভারত' স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধুঁকছে
মেচেদা স্টেশনকে কেন্দ্রের তরফে 'অমৃত ভারত' স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনবহুল এই স্টেশনে থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নে দীর্ঘদিন কোনও পদক্ষেপ ক…

 



অমৃত ভারত' স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধুঁকছে


মেচেদা স্টেশনকে কেন্দ্রের তরফে 'অমৃত ভারত' স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনবহুল এই স্টেশনে থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নে দীর্ঘদিন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত এখানে পরিষেবা সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ।রেলের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক জন চিকিৎসক, এক জন নার্স, এক জন ফার্মাসিস্ট, এক জন ড্রেসার, দুই স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৬ জন রয়েছেন। সেখানে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কোলাঘাট স্টেশন থেকে জকপুর স্টেশন পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনের ১০২৪৬ জন রেল কর্মী-আধিকারিক ও অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মীদেরও প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে।

মেচেদা রেল স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন মিলিয়ে ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে যাত্রীদের মধ্যে কেউ আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় অথবা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্লাটফর্মে যান। কিন্তু এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেশুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকায় গুরুতর অসুস্থতা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের খড়াপুর রেলওয়ে হাসপাতাল বা কলকাতার গার্ডেনরিচ রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর বিভাগের যাত্রী সংগঠনের নেতৃত্ব অজয় দোলাইয়ের দাবি, "মেচেদা স্টেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।”দক্ষিণ -পূর্ব রেলের জোনাল রেওয়য়ে কনসাল্টেটিভ কমিটির প্রাক্তন সদস্য শ্যামসুন্দর পাখিরার কথায়, “মেচেদা স্টেশনের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদের আনাগোনা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবাও উন্নতির জন্য দফতরের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়গপুর বিভাগের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেন্দ্রকুমার বেহারা বলেন, "ওই হেলথ ইউনিটের উন্নয়নের পরিকল্পনা এখনই নেই। তবে যাত্রী সংগঠনের তরফে যদি আবেদন আসে তাহলে খতিয়ে দেখা হবে।”

No comments