পাকার সেতু তৈরীর দাবিতে গ্রামবাসীদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে পেল পাকার সেতু!কয়েক বছর ধরে বিপদ সংকুল বাঁশের সাঁকো পারাপার করতে হতো। তারপর থেকে লাগাতার আন্দোলনে সরব ছিলেন গ্রামবাসী। যাতে পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। শেষমেশ বাঁশের সেত…
পাকার সেতু তৈরীর দাবিতে গ্রামবাসীদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে পেল পাকার সেতু!
কয়েক বছর ধরে বিপদ সংকুল বাঁশের সাঁকো পারাপার করতে হতো। তারপর থেকে লাগাতার আন্দোলনে সরব ছিলেন গ্রামবাসী। যাতে পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। শেষমেশ বাঁশের সেতুর বদলে মিলল পাকা সেতু। আর সেই সেতু তৈরি হতেই আনন্দে উৎফুল্ল গ্রামবাসী। তুলে দিলেন একে অন্যের মুখে মিষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাকড়ী গ্রামে নারকেল ফাটিয়ে পুজোর মাধ্যমে ব্রিজ তৈরীর কাজ হলো। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় যখন কোথাও পাকা রাস্তার দাবি অথবা কাচা বাড়ি ছেড়ে পাকা বাড়ি তৈরি দাবি উঠছে সেই পরিস্থিতি এই খবর একেবারেই বিরল।
বস্তুত, এগরার বেনাচাকড়ী গ্রামের পাশ থেকে বয়ে গিয়েছে একটি কুদিগঙ্গা খাল। চার থেকে পাঁচটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র ভরসা ছিল তার উপরে তৈরি নড়বড়ে বাঁশের সেতু। এমনকী ঐ গ্রামগুলির পড়ুয়ারা এই বাঁশের সেতু পেরিয়েই যেত স্কুল।
গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাঁশের সেতুর বদলে তৈরি করা হোক পাকা সেতু। এমনকী গত ৫০ বছরে পাকা সেতুর দাবিতে বার বার সরব হয়েছিল বিরোধীরা। অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ দশক পর সেই দাবি মেনে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে নির্মাণ শুরু করা হয়। ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই ব্রিজ তৈরী হবে। ঠিকাদার সংস্থা জানিয়েছে ৪-৫ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরুর দিনে উপস্থিত ছিলেন এগরা মহকুমা শাসক মঞ্জিত যাদব, এগরা ১ ব্লকের বিডিও দূর্গাপ্রাসাদ ঘোষ, এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্য চক্রবর্তী, জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু বেরা, বিশ্বজিৎ বেরা, তরুণ করমহাপাত্র, আশীষ প্রধান, অরুন মিশ্র, গৌতম বর্মন ও অন্যান্যরা।
এগরা মহকুমা শাসক মঞ্জিত যাদব বলেন, “এই সেতু তৈরি নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে এই সেতু নির্মাণ শুরু হল। এগরায় মোট ৭ টি ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করে এলাকার সমস্যার সমাধান করা হবে।
No comments