পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে ডেপুটেশন
মৎসজীবিদের কয়েক দফা দাবীর ভিত্তিতে ডেপুটেশন দিলো পূর্ব মেদিনীপুর মৎসজীবি ফোরাম। সোমবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ ব্লকের বিডিওর কাছে কয়েকদফা দাবীতে ডেপুটেশন দেওয়া …
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে ডেপুটেশন
মৎসজীবিদের কয়েক দফা দাবীর ভিত্তিতে ডেপুটেশন দিলো পূর্ব মেদিনীপুর মৎসজীবি ফোরাম। সোমবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ ব্লকের বিডিওর কাছে কয়েকদফা দাবীতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মৎসজীবিদের জন্য 'সমুদ্রসাথী' প্রকল্প চালু করেছিলেন। যার ফলে প্রচুর মৎসজীবি সরকারি ভাতার জন্য নাম নতিভুক্ত করেছিলেন। জেলার ৫০ হাজার মৎসজীবি সমুদ্রে মৎস শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁরা এই মৎসজীবি কার্ডও করেছেন। কাগজে কলমে এই প্রকল্প চালু হলেও বাস্তবে তাঁর কোনো রূপায়ণ হয়নি। মেলেনি কোনো সরকারি ভাতা। এমনকি রাজ্যসরকার এবারের বাজেটেও এই প্রকল্পের জন্য কোনো প্রকার অর্থ বরাদ্দ করেনি। সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ব্যান পিরিয়ডের সময় দেশের অন্যান্য রাজ্যে ক্ষুদ্র মৎসজীবিদের মৎস শিকারের ছাড় থাকলেও এই রাজ্যে তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি শুটকি মাছের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না মৎসজীবিরা। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৎসজীবিরা। মোট পাঁচ দফা দাবী নিয়ে এদিন রামনগর ২ ব্লকের বিডিও অখিল মন্ডলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তবে বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা করবেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎসজীবি ফোরামের সম্পাদক দেবাশীষ শ্যামল বলেন, আমার মূলত ৫ দফা দাবী নিয়ে বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিলাম। বিডিও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীদিনে এই সমস্যাগুলির সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
No comments