আসলে মহাকুম্ভ কি? কুম্ভস্নান করলে কি পাপ ক্ষয় হয়? সত্যি কি স্নানে পূর্ণ লাভ হয়? সত্যি কি মনুষ্য জাতি পরিবর্তন হয়?
হিন্দুদের ভাগবত পুরান অনুসারে ১৪৪ বছরে একবার মহা কুম্ভ। ১২ বছরের পূর্ন কুম্ভ ৬ বছরের অর্ধ কুম্ভ এবং চার বছরে …
আসলে মহাকুম্ভ কি?
কুম্ভস্নান করলে কি পাপ ক্ষয় হয়? সত্যি কি স্নানে পূর্ণ লাভ হয়? সত্যি কি মনুষ্য জাতি পরিবর্তন হয়?
হিন্দুদের ভাগবত পুরান অনুসারে ১৪৪ বছরে একবার মহা কুম্ভ। ১২ বছরের পূর্ন কুম্ভ ৬ বছরের অর্ধ কুম্ভ এবং চার বছরে কুম্ভস্থান হয়। এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ এবং এক লক্ষ বার পৃথিবী ভ্রমণের যে পূর্ণ লাভ হয় ।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/bKTRdF228Qo
যা কুম্ভস্থান করলে সেই পূর্ণ লাভ হয়। দেবতাদের একদিন অর্থাৎ মনুষ্য জাতির এক বছর ।১২ দিন ধরে দেবতারা সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। তার কারণেই বারো বছর পর কুম্ভে মেলা হয়।
ভাগবতে উল্লেখ করা রয়েছে, সমুদ্র মন্থনের সময় যে অমৃতের ভন্ড উঠেছিল সেই অমৃতের পান করার জন্য দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড গন্ডগোল লেগে যায় সেখানেই স্বয়ং ভগবান ছদ্মবেশ ধারণ করে দেবতা এবং অসুরের কাছ থেকে সেই অমৃতের ভান্ড নিয়েছিলেন। অসুর এবং দেবতারা অমৃতের ভান্ড নিয়ে টানাটানি চলে। সেই সময় যেই জায়গাতেই অমৃত পড়ে ছিল সেই খানে হয় কুম্ভ মেলা। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এই কুম্ভ মেলা হয়ে থাকে। যেমন প্রয়াগরাজ যেখানে গঙ্গা যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলন, হরিদ্বার গঙ্গা নদী, নাসিক গোদাবরী নদী এবং উজ্জয়িনী শিপ্রা নদী এই চারটি কুম্ভ মেলা হয়। বর্তমানে ২০২৫ সালে এই মহা কুম্ভ তাই ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।দেশ-বিদেশ বহুদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত সমাগম হয়েছেন বহু সাধু সন্ন্যাসীগণ ।
ইতিমধ্যে এই মহা কুম্ভ এক দুর্ঘটনাও ঘটে গিয়েছে যা খুব দুঃখজনক। জানতে পেরেছি, ১৪ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি ২৯ শে জানুয়ারি মৌন অমাবস্যা ৩রা ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী ১২ই ফেব্রুয়ারী মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি কুম্ভ স্নানে জন্য বহু মানুষ বর্তমানে প্রয়াগরাজ মহা কুম্ভে এসেছেন।
অনেকেই ভাবছেন কিভাবে এই পুণ্য স্থানে যাবেন? জেতে গেলে মন ভক্তি শ্রদ্ধা তিনটি থাকলেই অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারেন এই মহা কুম্ভে স্নানে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনায়াসেই ট্রেন যোগে আসা যায় হাওড়া থেকে। এছাড়া ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার জন্য রেলওয়ে দপ্তর তারা অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন এছাড়া বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসার জন্য ভক্তদের একাধিক ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া মহা কুম্ভে আসা যায় মোটরবাইক, বাইসাইকেল এবং প্রাইভেট কার নিয়েও মানুষ আসছেন এই মহা কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে পূর্ণ লাভের জন্য। পূর্ব মেদিনীপুর বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন কুম্ভে আসার জন্য স্পেশাল ট্রেন দিয়েছেন ঠিক তেমনি ভাবে হলদিয়া থেকে কিভাবে যাবেন একই ট্রেনে তার জন্য রেল দপ্তর ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন সারা বছর ধরে। হলদিয়া থেকে দিল্লি গামী ট্রেনে আপনি পৌঁছে যাওয়া যায়।শঙ্কর চক্রবর্তী, মৈনাক্য সামন্ত,যদুপতি নায়েক, ড্রাইভার গোপাল বারিক, দূর্গাপদ মিশ্র
আমরা পাঁচ জন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম ৩১ শে জানুয়ারি ৩রা ফেব্রুয়ারি মহাস্নান সেরে অযোধ্যায় রামলালার দর্শন এবং বারানসী মহা কালের দর্শন করে বাড়ি ।কি বললেন মৈনাক্য সামন্ত ...।
No comments