বউমাকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন তমলুকের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আনন্দশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তমলুক শহর এলাকাতেই সাজাপ্রাপ্তের বাড়ি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯সালে ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে কেউ না…
বউমাকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন তমলুকের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আনন্দশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তমলুক শহর এলাকাতেই সাজাপ্রাপ্তের বাড়ি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯সালে ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শ্বশুর তার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে। তার ফলে পুত্রবধূ সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই যুবতীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় তাঁর শাশুড়ি। বাধ্য হয়ে তিনি বাপেরবাড়িতে আশ্রয় নেন। ২০২০সালে ২৪জুন শ্বশুরের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন পুত্রবধূ। এরপরই পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার সরকারি আইনজীবী হিমাংশুশেখর সামন্ত বলেন, ২০২০সালে ২০সেপ্টেম্বর ওই যুবতী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বারবার ধৃত শ্বশুরের জামিন খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। এরপর জামিনের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্ত। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উচ্চ আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আর্জি জানিয়েছিল অভিযুক্ত। ওই টেস্টে দেখা যায়, ধৃতের ঔরসেই যুবতীর পুত্রসন্তান হয়েছে। টানা সাড়ে চার বছর জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছে ওই ব্যক্তি। মোট সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৬ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সোমবার সেই মামলায় অভিযুক্তকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
No comments