মহা কুম্ভের পুণ্য লাভে মাঘী পূর্ণিমার শাহীস্নানে যানজট প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়েপূর্ণকুম্ভে পুণ্যলাভের আশা। মৌনী অমাবস্যায় পদপিষ্টের ঘটনাও দমাতে পারেনি পুণ্যার্থীদের। আগামী বুধবার মাঘী পূর্ণিমা। সেদিনের শাহিস্নানের জন্য দেশের বি…
মহা কুম্ভের পুণ্য লাভে মাঘী পূর্ণিমার শাহীস্নানে যানজট প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে
পূর্ণকুম্ভে পুণ্যলাভের আশা। মৌনী অমাবস্যায় পদপিষ্টের ঘটনাও দমাতে পারেনি পুণ্যার্থীদের। আগামী বুধবার মাঘী পূর্ণিমা। সেদিনের শাহিস্নানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে মানুষ কুম্ভমেলার পথে। যার জেরে প্রয়াগরাজগামী সব সড়কে দেখা দিয়েছে ব্যাপক যানজট। কোথাও কোথাও যানজট ৩০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। অনেকেই একে ‘বিশ্বের বৃহত্তম যানজট’-এর তকমা দিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকেই প্রয়াগারাজগামী সব রাস্তায় যানজটের ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কয়েক ঘণ্টা তাঁরা রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে জানজটে আটকে পড়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘৫০ কিলোমিটার পার হতে ১০-১২ ঘণ্টা লেগে গেল। জানি না আদৌ স্নান সারতে পারব কি না।’ এই অনিশ্চয়তা থেকে অনেকেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথ ধরেছেন। সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রয়াগরাজ সঙ্গম স্টেশন। তবে খোলা রয়েছে প্রয়াগরাজ জংশন স্টেশন। সেখানে একমুখী ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
কেন এই যানজট? পূর্ণকুম্ভ নিয়ে সরকারি স্তরে প্রচার হয়েছে বিস্তর। অনেকেই ট্রেনে টিকিট পাননি। গাড়িতে তাঁদের অনেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাতেই এই ভয়ঙ্কর যানজট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিনদিন কেটে যাবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। আতান্তরে পড়ে মধ্যপ্রদেশে পুণ্যার্থীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ‘সোমবার প্রয়াগরাজের দিকে যাওয়া অসম্ভব। সেখানে ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে বলে শুনেছি।’ এই অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের কাতনির এক পুলিস আধিকারিকের বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। ব্যাপক ভিড়ের কথা জানিয়ে পুণ্যার্থীদের প্রয়াগরাজে যেতে নিষেধ করছেন তিনি। বিপুল এই যানজট নিয়ে যোগী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। পাশাপাশি প্রয়াগরাজে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে অখিলেশ বলেন, ‘সর্বত্র যানজটের জেরে খাদ্যদ্রব্য, শাকসব্জি, মশলাপাতির সরবরাহ থমকে গিয়েছে। ওষুধ, পেট্রল ও ডিজেলও অমিল। গুরুতর পরিস্থিতি।’
No comments