Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কাল বাজেট, গ্রামোন্নয়নে রেকর্ড বরাদ্দের পথে রাজ্য

কাল বাজেট, গ্রামোন্নয়নে রেকর্ড বরাদ্দের পথে রাজ্যবছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের স্বাধীন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, এবারের বাজেটে মমতা …

 




কাল বাজেট, গ্রামোন্নয়নে রেকর্ড বরাদ্দের পথে রাজ্য

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের স্বাধীন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, এবারের বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গ্রামোন্নয়ন খাতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চলেছে। গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের জন্য প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে, যা এই দপ্তরের নিরিখে রেকর্ড বলেই বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হওয়ার পর থেকে ‘১০০ দিনের কাজ’ প্রকল্পে রাজ্যকে কোনও অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই অবস্থায় গ্রামীণ এলাকার গরিব মানুষের স্বার্থে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প চালু করে উপার্জনের বিকল্প পন্থার হদিশ দিয়েছে রাজ্য। সেই সঙ্গে জবকার্ড হোল্ডারদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের কোষাগার থেকে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে এই কাজের সুফলও পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কয়েকমাস পরেই বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে রাজ্যে। চতুর্থবার সরকার গঠনের লক্ষ্যে মহাযুদ্ধে নামবে রাজনৈতিক দলগুলি। এই আবহে ছাব্বিশের ভোটই যে ‘পাখির চোখ’, তার প্রতিফলনও এবারের বাজেটে স্পষ্ট হবে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলিতে গুরুত্ব না কমিয়েই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব আসতে চলেছে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি ছিল পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ। ২০২৪-২৫-এ এই খাতে ১১.২৭ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছিল।

শুধু ‘১০০ দিনের কাজ’ নয়,  কেন্দ্র আবাস প্রকল্পের টাকাও দেয়নি। তাই নিজস্ব কোষাগার থেকে ২৮ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। প্রথম পর্যায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে (মোট সাত হাজার কোটি) ইতিমধ্যে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে এপ্রিল-মে মাসে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাকি ১৬ লক্ষকে (আট লক্ষ করে) দু’ভাগে টাকা দেওয়া হবে। ফলে শুধুমাত্র বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পের জন্যই পঞ্চায়েত দপ্তরকে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে। তাই এই দপ্তরের অন্যান্য কয়েকটি ক্ষেত্রের বাজেট বরাদ্দ সামান্য কাঁটছাঁট করার প্রস্তাবও থাকছে বলে খবর। বিধানসভা ভোটের আগেই ‘পথশ্রী-৪’ প্রকল্প চালু করে আরও রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা থাকতে পারে বাজেটে। কারণ, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ সহ নানা মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির অনুরোধ জমা পড়েছে। 

নগরোন্নয়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি হতে পারে। ধারাবাহিক কেন্দ্রীয় বঞ্চনার আবহে (কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা) যতটা সম্ভব ঋণের বোঝা কম রাখাটাও লক্ষ্য রাজ্যের। তাই নিজস্ব আয় বৃদ্ধির দিশা থাকবে কালকের বাজেট প্রস্তাবে। 

No comments