বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় !

বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ! বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন মঞ্চ থেকে বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় নবনির্বিত ja…

 

বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় !

 বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন মঞ্চ থেকে বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় নবনির্বিত jagarnath মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনক্ষণ!

বুধবার ৫ ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন আগামী ২৯ শে এপ্রিল 2025 দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। তিথি অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়ার একদিন আগেই মন্দিরের দরজা খুলে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণা প্রভু জগন্নাথের ভক্তবৃন্দ এবং সাধারণ পর্যটক দুই পক্ষের কাছেই বিরাট পাওয়া এতদিন তারা সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন কবে চাক্ষুষ করা যাবে সেই মন্দির ? কবে ঢোকা যাবে মন্দিরের অন্দরে? কবেইবা পুজো দেওয়া যাবে প্রভু জগন্নাথের নামে।

 মমতার এ দিনের ঘোষণায় ভক্ত, পূর্ণার্থী ও পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

 প্রসঙ্গত, গত বছরে ১১ ডিসেম্বর২০২৪ দীঘা সফরে এসে নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন ২০২৫ সালে এপ্রিলের মধ্যেই মন্দিরের দরজা আম জনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে। বুধবার ৫ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি মতোই মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০২৫ সালে রথযাত্রার অনুষ্ঠান শামিল হতে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে আসবেন তিনি। সেক্ষেত্রে অক্ষয় তৃতীয়ার আগে মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেলে সেখানে পরবর্তী রথযাত্রা পালন করতে পারবেন মমতা।

 প্রসঙ্গত দীঘায় এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে পুরী জগন্নাথের মন্দিরের আদলে। প্রায় ২২ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে বিশাল এই বিরাট মন্দির যার জন্য খরচ করা হয়েছে প্রায় 200 কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন ২০১৮ সালে তার সরকারের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে হিডকো।

বিশেষ সূত্রের দাবি উড়িষ্যার পুরীর মন্দিরের নিয়ম প্রথা মেনেই দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরেও রথযাত্রার আয়োজন করা হবে। প্রত্যেক বৎসর রথযাত্রার সময় পুরীতে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা রথে বেরোনোর আগেই সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা ঝাট দেওয়া হয়। দীঘা জগন্নাথ মন্দিরেও সেই প্রথা পালন করা হবে। এমনকি  সোনার ঝাঁটা তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দান করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে দীঘায় মন্দির পরিচালনার কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সারা সম্ভব হয় ,তার নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে একটি অছি পরিষদ বা ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 সেই ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এছাড়াও রয়েছেন চার হিন্দু প্রতিনিধি, পুরীর মন্দিরের পাঁচ প্রতিনিধি এবং স্থানীয় চারজন পুরোহিত।