পার্ভো ভাইরাস কি-লিখেছেন রিতা ভট্টাচার্য
সাবধান মহামারীর মতো ছড়িয়ে পথ কুকুরদের মধ্যে পার্ভো ভাইরাস। সহযোগিতা করুন নিজের পোষ্য টিকে যদি ভ্যাকসিন না করিয়ে থাকেন এখুনি করিয়ে নিন।আপনার আদরের পোষ্যটিও আক্রান্ত হতে পারে ‘পার্ভো’ ভাইর…
পার্ভো ভাইরাস কি-লিখেছেন রিতা ভট্টাচার্য
সাবধান মহামারীর মতো ছড়িয়ে পথ কুকুরদের মধ্যে পার্ভো ভাইরাস। সহযোগিতা করুন নিজের পোষ্য টিকে যদি ভ্যাকসিন না করিয়ে থাকেন এখুনি করিয়ে নিন।
আপনার আদরের পোষ্যটিও আক্রান্ত হতে পারে ‘পার্ভো’ ভাইরাসে। কীভাবে বুঝবেন বা আক্রান্ত হলে আপনি কী করবেন। মূলত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কুকুরের রক্ত আমাশা বা রক্তাক্ত ডায়রিয়া হয়। যার ফলে মল ত্যাগের সময় মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে, যাকে রক্ত আমাশা বলা হয়। শরীর থেকে রক্ত বেড়িয়ে যাওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর।
পথকুকুর কেবল নয়, বাড়ির পোষা কুকুরও আক্রান্ত হতে পারে পার্ভো ভাইরাসে। সঠিক সময়ে পোষ্যকে প্রতিষেধক না দিলে। মূলত 75 দিনের পর থেকেই পার্ভোতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বেশ কিছু লক্ষণও দেখা দিতে থাকে পোষ্যের শরীরে। পার্ভো ভাইরাস খুব বিপজ্জনক। পথকুকুরদের মধ্যে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।
কুকুরের মধ্যেই পার্ভো-র সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এর পুরো নাম ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা না করালে পরে আর ওষুধে তেমন কাজ হয় না। মৃত্যুও হতে পারে। রটওয়েলার, পিটবুল, ল্যাব্রাডর, গোল্ডেন রিট্রিভার, ডোবারম্যান, জার্মান শেফার্ড, স্প্যানিয়েল ককারের মতো প্রজাতির কুকুর তাড়াতাড়ি আক্রান্ত হতে পারে।
ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস বা সিপিভি সংক্রমিত কুকুরের মল কিংবা বমি শুঁকে নিলে বা তার সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। আক্রান্ত কুকুরের বমি, ডায়েরিয়া, ওজন কমে যাওয়া, খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া, মলের সঙ্গে রক্ত বার হওয়া, প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়া, জ্বর হওয়া, রক্ত যুক্ত প্রচন্ড দুর্গন্ধ মল বেরোতেই থাকে, বমি হতেই থাকে, খিঁচুনি শুরু হয়, কুকুর পেটের ব্যথায় কাঁন্না কাটি করতে থাকে। এ গুলি পার্ভো ভাইরাস এর লক্ষণ।দেরি না করে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে কুকুরদের হৃৎস্পন্দনের হার্ড বেড়ে যায়। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে প্রানহানী থেকে হয়তো রক্ষা করা যেতে পারে।5-6 দিন একই ভাবে চিকিৎসা হতে থাকে।
No comments