দীর্ঘদিন কাজ করে বিল পাচ্ছে না , দ্রুত টাকা দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন ঠিকাদার সংস্থা! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঠিকাদারদের বকেয়া পাহাড় সমান। দীর্ঘদিন ধরে কাজের বিল পাচ্ছেন না তাঁরা। পাশাপাশি ২০১৭ সালের পুরনো রেটে তাঁদের কা…
দীর্ঘদিন কাজ করে বিল পাচ্ছে না , দ্রুত টাকা দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন ঠিকাদার সংস্থা!
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঠিকাদারদের বকেয়া পাহাড় সমান। দীর্ঘদিন ধরে কাজের বিল পাচ্ছেন না তাঁরা। পাশাপাশি ২০১৭ সালের পুরনো রেটে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে শেষ করা কাজের টাকাও আটকে থাকায় বিপাকে পড়েছেন ঠিকাদাররা। তাঁরা দ্রুত সেই টাকা ছাড়ার দাবি তুলেছেন।
প্রশাসনের এই ঢিলেমিতে তাঁরা বিপুল ক্ষতির মুখে বলে দাবি ঠিকাদাররা। সমগ্র বিষয় নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে। দাঁতন ২ ব্লক কন্ট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্তদপ্তর এবং এমজিএনআরজিএস, পথশ্রী, সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সর্বশিক্ষা মিশনে বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া বিল দ্রুত মেটানো ও পুরনো সিডিউল অর্থাৎ পুরনো রেট বদলে নতুন রেট চালুর দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দাঁতন ২ ব্লক কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই সমস্ত দাবিতে ধনেশ্বরপুরে বিডিও'র দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পাশাপাশি দাঁতন ২ বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি ধনেশ্বরপুরে বেলদা- এগরা রাজ্য সড়ক প্রায় আধ ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।
দাঁতন ২ ব্লক কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শেখ খলিলুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুরনো সিডিউলে এখানে কাজ করছি। পূর্ত ও সেচদপ্তরের ঠিকাদারদের যৌথভাবে বকেয়ার পরিমাণ ৪৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এদিন বিডিও'কে স্মারকলিপি দিয়েছি।
সংগঠনের সভাপতি অভিষেক দত্ত বলেন, ২০১৭ সালের পর আর সিডিউল রেটের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। অথচ ওই সময় থেকে এখন বিটুমিন, ইট সহ সমস্ত ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বারবার এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলে সরব হয়েছি। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে যে কাজগুলি করা হয়েছে তার বকেয়া টাকাও আমরা পাইনি। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে।
No comments