৭০ দশকে কংগ্রেস জমানা থাকা কালীন বন্দরের সাথে সাথে শল্প শহরে কাজ শুরু হয়। বাম জমানায় ৮০ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানা গড়ে ওঠে হলদিয়া পূর্ব ভারতের অন্যতম অনুসারী শিল্প পেট্রো কেমিক্যাল যা ১২০০ একর জায়গার উপর নির্মি…
৭০ দশকে কংগ্রেস জমানা থাকা কালীন বন্দরের সাথে সাথে শল্প শহরে কাজ শুরু হয়। বাম জমানায় ৮০ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানা গড়ে ওঠে হলদিয়া পূর্ব ভারতের অন্যতম অনুসারী শিল্প পেট্রো কেমিক্যাল যা ১২০০ একর জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে। সেই সময়কালে যুবকদের একটা বাড়তি পাওনা সেই সময়কালে রাজ্য সরকার নগর উন্নয়নের প্রথম দিক যা তুলে ধরেছে। সারা রাজ্যের দৃষ্টান্ত পুনর্বাসন করার মধ্য দিয়ে যে নগর উন্নয়ন বর্তমানে রাজ্যের মডেল। মূলত ৮০ দশক থেকে এই কাজ শুরু হলে ৯০ দশকে জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন। ২০০০ সালে হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যালসে উৎপাদন শুরু হয়। এবং তাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি অনুসারী শিল্প গড়ে উঠেছে। বর্তমানে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো একদিকে হলদিয়া শিল্প শিক্ষা এবং এই জেলা স্বাধীনতার সংগ্রামের জেলা এখানে রয়েছে সৈকত শহর দীঘা মান্দারমনি বিদ্যাসাগরের জন্ম স্থান। মাতঙ্গিনী হাজরা এবং প্রথম সাংসদ সতীশ চন্দ্র সামন্ত সহ বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পিঠস্থান। স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তী কালে রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী এই জেলাতেই থাকতেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ এবং পরবর্তীকালে যে অজয় মুখার্জি তিনিও তমলুক শহরে থাকতেন। কেন্দ্র সরকারের যতগুলি প্রকল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে যা বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে ধান চাষ মুরগি পালন পশুপালন ফুল চাষ, গো-পালন সবটাই এই মেদিনীপুরে হলদিয়াতে ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ এর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল যা এখন সারা ভারতবর্ষে বাস্তবায়িত হচ্ছে। মেদিনীপুর জেলা এখন মিনি ইন্ডিয়া ।
২০১১ সালের পর হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা
১. রোহিত ফেরো টেক(কারখানার মেশিনারি থেকে ইট সবই চুরি হয়ে গিয়েছে), ভুঁইয়ারায়চকে
২. উরাল ইন্ডিয়া লিমিটেড(ভারি ট্রাক তৈরির কারখানা), ভবানীপুর থানার কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ১০০ একর জমি এখন ঘাস জঙ্গল, কারাখানা বিআইএফআর চলে গেছে।
৩. কে এস অয়েল, ভোজ্যতেলের কারখানা, সিটিসেন্টার লাগোয়া
৪. চকদ্বীপা লজিস্টিক কার্গো হাব, ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ডান দিকে, ২০০একর জমি নেওয়ার পর ফেলে রেখেছে শিল্প সংস্থা। জমির চারপাশের প্রাচীর থেকে প্রতিদিন ইট চুরি যাচ্ছে। ওই শিল্প সংস্থা এখন জমি ফেরত দিয়ে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫০ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে।
৫. রোহিত ফেরোটেকের মতো মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট নামের ফেরো টেক কারখানাও ধুঁকছিল। বিআইএফআর বা কোম্পানি ল'বোর্ডে চলে যায়। শেষমেস নিলামে কাসভি স্টিল নামে নতুন একটি শিল্প সংস্থা কিনে নিয়ে বছর দেড়েক আগে। রোহিত বা মডার্ন কনকাস্টের মতো বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী শিল্প সংস্থা দুটি সরকারের কাছে স্পেশাল ইনসেনটিভ চেয়েছিল এবং বিদ্যুতে ছাড় চেয়েছিল। রাজ্য সরকারের কোনও শিল্পনীতি না থাকার ফল ভুগতে হয়েছে এদের। দুটি সংস্থাই অ্যালয় স্টিলের কাঁচামাল ফেরো ম্যাঙ্গানিজ তৈরি করত যার ১০০শতাংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
৬. এন্নোর কোক( মিৎসুবিশি কারখানার উল্টোদিকে), বন্ধ এন্নোর কোক কারখানা কিনেছে মহালক্ষ্মী কোক নামে একটি সংস্থা।
৭. তৃণমূল সরকারের সময়কালে হলদিয়া ছেড়েছে রাজ্যে প্রথম ফরেন ডিরেক্টর ইনভেস্টমেন্ট(FDI) জাপানী সংস্থা মিৎসুবিশি কেমিকেল। ২০০৩ সালে মিৎসুবিশির পিটিএ প্ল্যান্ট চালু হয়। ২০০৮ সালে সংস্থাটি হলদিয়ায় প্ল্যান্ট সম্প্রসারণ করে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসার জন্য পিটিএর রিসার্চ হেড কোয়ার্টার বা সদর দপ্তর হলদিয়ায় সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কারখানায় অরাজকতা শুরু হয়। লাভজনক ইউনিট ধুঁকতে শুরু করে। কারখানাটি বিআইএফআর(BIFR) এ চলে যায়। শেষে ২০১৬ সালে পেট্রকেমের মালিক চ্যাটার্জি গোষ্ঠী( পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জি) মিৎসুবিশি কিনে নেন।
৮. চ্যাটার্জি গোষ্ঠী মিৎসুবিশি অধিগ্রহণের পর এটিকে আরও সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য ২০১৮ সালে তারা প্রায় ১০০ একর জমি চায় রাজ্য সরকারকে। সাড়ে ৪হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে পূর্ব ভারতের প্রথম পলিয়েস্টার কারখানা তৈরির করার কথা ছিল। জমির দাম নিয়ে প্রায় ৭ বছর টানাপোড়েন চলে। ওই শিল্প সংস্থা প্রকল্প সম্প্রতি হলদিয়া থেকে ওড়িশায় সরিয়ে নিয়েছে। ওই প্রকল্প হলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হত বাংলায়।
৯. ২০১২ সালে বন্দর থেকে এবিজি কোম্পানিকে তাড়িয়ে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কয়েক মাস ধরে দৌরাত্ম চলে। ভয় দেখানো হয় বন্দর কর্তাদের। এবিজি সংস্থার ডাম্পারের ইঞ্জিনে বালি ঢেলে সেগুলি অকেজো করে দেওয়া হয়। মাঝরাতে টাউনশিপে আবাসনে হামলা চালিয়ে এবিজির আধিকারিকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিজি হলদিয়া বন্দরের ২ এবং ৮ নম্বর আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ করেছিল কয়েকশো কোটি টাকা। বার্থে স্বয়ংক্রিয় পণ্য ওঠানামার জন্য। এরফলে বন্দরে কম খরচে পণ্য ওঠানামা করতে পারত। শুভেন্দু বন্দরের অন্য একটি সংস্থার হয়ে দালালি করতে গিয়ে এবিজিকে হটায়। এবিজির কয়েকশো কোটি টাকার ক্রেনগুলি গত ১২ বছরে লোহালক্কড়ে পরিণত হয়েছে।
১০. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কুঁকড়াহাটির কাছে শালুকখালিতে হলদিয়া বন্দরের 'ডক-টু'র শিলান্যাস করেছিলেন। ওইসময় তিনি ছিলেন ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী। জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প রিমোটে সুইচ টিপে হাতিবেড়িয়া থেকে শিলান্যাস করেন। সেইপ্রকল্প আজও অধরা।
বন্দরের 'ডক-টু' প্রকল্প হলে কী সুবিধে হত হলদিয়ার? হলদিয়া সম্প্রসারিত হতে পারত কুঁকড়াহাটি পর্যন্ত। যে নাব্যতা সঙ্কটে হলদিয়ায় ২৫-৩০ হাজার টনের বেশি বড় জাহাজ আসতে পারে না হলদিয়ায়, তা শালুকখালিতে আসতে পারত। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওখানে জলের গভীরতা ৯ মিটারের বেশি। হলদিয়া-পাঁশকুড়া রেললাইনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। ওই এলাকায় বন্দরের ১২০ একর জমিও রয়েছে। ফলে আলাদা করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ১৪ বছরেও সেই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। ১৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে এখন ২৫০ কোটি টাকা হয়েছে। প্রকল্পের জমি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পের জন্য একাধিকবার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। বর্তমানে একটি সংস্থা দায়িত্ব নেওয়ার পরও কাজ শুরু করতে গড়িমসি করছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে হলদিয়ায় শিল্পের অবস্থা খারাপ। বিনিয়োগ করতে গিয়ে একাধিকবার ভাবছে সংস্থাটি।
১১. কেন্দ্রের নীতির ফলে ২০০২ সালে বন্ধ হয়েছিল এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার বা এইচএফসি। ওই কারখানা বন্ধ হওয়ার পর কারখানার জমির একাংশে বাম আমলেই টাটার একটি প্রকল্প গড়ে ওঠে। টাটা স্টিলের হুগলি মেট কোক এবং টাটা পাওয়ার। বন্ধ কারখানার বাকি অংশে পড়ে থাকা যন্ত্রপাতি, কারখানার বিভিন্ন কাঠামো দিনের বেলাতেই পুলিসের চোখের সামনে লুট হয়েছে। ট্রাক বোঝাই করে কোটি কোটি টাকার লোহার যন্ত্রাংশ লুট হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু এইচএফসি কারখানা নয়, টাউনশিপে এইচএফসির পড়ে থাকা আবাসনের ইট পর্যন্ত লুট হয়েছে।
১২. সিটিসেন্টারের কাছে বাম আমলে ক্যালস রিফাইনারির জন্য জমি দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প অথৈ জলে। সেই প্রকল্পের জন্য প্রাচীর একটি ইটও অবশিষ্ট নেই। এখন দিনে রাতে শাসকদলের মদতে ওই প্রকল্প এলাকার জমি থেকে মাটি চুরি হচ্ছে ট্রাকে করে।
১৩. হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ায় রেলের কোচ তৈরির কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২ফেব্রুয়ারি এর উদ্বেধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪২.২ একর জমির উপর ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানা গড়ার কথা ছিল। তবে ৭০ কোটি টাকা খরচের পর আর এগয়নি বলে অভিযোগ। এখানে DEMU কোচ তৈরি হত। কলকাতা মেট্রোর জন্য কোচ তৈরির ভাবনাও ছিল। পরে রেলমন্ত্রকের অনীহায় ওই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। হলদিয়া থেকে রেল কারখানার সমস্ত যন্ত্রাংশ অন্যত্র তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে।
সবমিলিয়ে হলদিয়ায় ২০১১ সালের পর হলদিয়ায় চিরতরে চালু কারখানা বন্ধ হয়েছে।
১)উরাল ট্রাক কারখানা ২)রোহিত ফেরো টেক ৩)কেএস অয়েল ভোজ্যতেল কারখানা ৪) রেলের কোচ কারখানা ৫)সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক(সিটিসেন্টার) ৬)গত ১৩-১৪ বছরে হলদিয়ায় একাধিক কারখানা ধুঁকছে এবং বিআইএফআর এ গিয়েছে।
১)মিৎসুবিশি পিটিএ প্ল্যান্ট ২)এন্নোর কোক
৩)রুচি সয়া ভোজ্য তেল( এখন পতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্টস) ৪)মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট ৫)সিটিসেন্টার আইটি পার্ক
জমি নেওয়ার পরও শিল্প হয়নি
১) ক্যালস রিফাইনারি(মাতঙ্গিনী মোড়, তেঁতুলবেড়িয়া)
২) চকদ্বীপা কার্গো হাব
৫) শালুকখালি ডক-টু প্রকল্প
সবমিলিয়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এবং বন্দর ধুঁকছে।কারখানাগুলিতে সমস্যা
১) ইউনিয়নের নামে তৃণমূলের তোলাবাজি। ২)শিক্ষক নিয়োগের মতো শ্রমিক নিয়োগেও ২-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে। সাপ্লাই লেবার, কনট্র্যাকচুয়াল লেবার এবং স্থায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরি
৩) সময়মতো নতুন বেতন চুক্তি(সিওডি, চার্টার্ড অব ডিমান্ড বা দাবি সনদ পেশ) হয় না। কারণ ইউনিয়ন থাকলেও একাধিক গোষ্ঠী। ফলে বেতনচুক্তির সময় ঐক্যমত হতে পারে না শ্রমিকরা। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা যখন তখন কাজ বন্ধ করে দেয়। কারখানা থেকে বন্দর সর্বত্র। এক একটি কারখানায় দু'তিন বছর করে সিওডি বকেয়া। আবার নতুন সিওডি ফাইনাল করতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য বছর ঘুরে যাচ্ছে আলোচনা করতে গিয়ে।
৪) মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো রোজ আইএনটিটিইউসির ইউনিয়নের নেতা বদলায়। ফলে কারখানা ম্যানেজমেন্ট কোনও কিছু চাপিয়ে দিলে শ্রমিকদের অভিযোগ জানানোর কোনও প্ল্যাটফর্ম নেই।
৫)ইউনিয়ন দুর্বল হওয়ার সুযোগ বা নেতারা ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নেয় বলেই শ্রমিক সুরক্ষার বিষয়গুলি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ যা ইচ্ছে তাই করে। সেফটি স্যু থেকে সেফটি স্যুট সবেতেই কাটমানির গল্প। খারাপ কোয়ালিটির জিনিস দেওয়া হয় কর্মরত শ্রমিকদের। ফলে দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানে, কেউ মরে গেলে দু'চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিলেই সব ধামাচাপা পড়বে।
৬) হলদিয়ায় দূরবর্তী শ্রমিকদের রাতে ফেরার কোনও গাড়ি থাকে না। প্রাণ হাতে করে রাতের টোটোতে বাদুড়ঝোলা হয়ে ফিরতে হয়। রাতের বাস থাকে না। শিল্পশহরে শ্রমিকদের পথ নিরাপত্তা শিকেয় উঠেছে। গড়ে মাসে দু'জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
হলদিয়া পেট্রকেমে নতুন ফেনল প্ল্যান্টে বিনিয়োগ হতে চলেছে ৩ হাজার কোটি টাকা( বাম আমলে তৈরি), কাজ শুরু হয়েছে।
আইওসি নতুন পেট্রকেম তৈরি করবে, ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। কিন্তু জমি নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ। ১০০ একর জমি প্রথম পর্বে দরকার। কিন্তু রাজ্যের কাছ থেকে গত এক বছরেও জমি পায় নি আইওসি।
হলদিয়ায় শিল্পের পরিকাঠামো গড়ার দায়িত্ব হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( এইচডিএ) উপর। কিন্তু এইচডিএতে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ যিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন, তিনি কাঁথিতে থাকে। মাসে একদু'বার আসেন। হলদিয়ার কোনও জনপ্রতিনিধি এইচডিএর বোর্ডে নেই। হলদিয়ার রাস্তাঘাট, পথবাতি, নিকাশি উন্নয়নে এইচডিএ কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। কারণ শুভেন্দুকে টাইট দিতে গিয়ে এইচডিএড আর্থিক খরচের ক্ষমতা কেড়ে নেয় রাজ্য। কিন্তু এখন তা বুমেরাং হয়ে ফিরেছে হলদিয়ায়। কারণ উন্নয়নের কাজে এইচডিএর টাকা নেই। তাছাড়া তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এইচডিএ এরিয়া জুড়ে কাজ করতে গিয়ে হলদিয়ায় শিল্পের পরিকাঠামো চূড়ান্ত অবহেলিত। শিল্প সংস্থাগুলি একাধিকবার অভিযোগ করেছে, কিন্তু ফল হয়নি।
শিল্প সংস্থাগুলিকে নয়া বার্তা
১)শিল্পের চাহিদা পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্কিলড শ্রমিক কর্মচারী। সেকাজে গুরুত্ব দেওয়া।
২)শিল্প সংস্থার আস্থা ফেরাতে এইচডিএর পূর্ণমাত্রায় ক্ষমতায়ণে জোর এবং হলদিয়ার জনপ্রতিনিধিকে বোর্ডে যুক্ত করার উদ্যোগ।
৩)এইচডিএকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবি
৪)হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলি আরও আধুনিকীকরণের ফলে স্কিলড লেবারের চাহিদা বাড়ছে। হলদিয়ায় সেই পরিমাণ লোকের অভাব রয়েছে। বাইরে থেকে শ্রমিক আনতে বাড়তি খরচ হচ্ছে শিল্প সংস্থার। এবার হলদিয়ার কারিগরী শিল্প সংস্থাগুলি এবং বিভিন্ন বণিকসভার সহযোগিতায় দক্ষ সংস্থার সাহায্য স্থানীয় তরুণদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। এরফলে এমপ্লয়েবল কর্মীর সংখ্যা বাড়বে, কারখানাগুলির সুবিধে হবে।
৫)শিল্প সংস্থাগুলি তৃণমূলের তোলাবাজিতে নাজেহাল। ফলে নতুন ছোট বড় শিল্প সংস্থা হলদিয়ায় বিনিয়োগের আগে একশো বার ভাবে। এই পরিস্থিতি পাল্টাতে সঠিক লিডারশিপের উপর গুরুত্ব।
No comments