বনদপ্তরের উদ্যোগে ৪০৫টি কচ্ছপ উদ্ধারএকসঙ্গে ৪০৫টি কচ্ছপ উদ্ধার হলো । যার বাজারমূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা । পূর্ব মেদিনীপুর বন বিভাগের অন্তর্গত বাজকুল রেঞ্জ বুধবার ভোরে এই বিপুলসংখ্যক কচ্ছপ উদ্ধার করেছে । বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাচারের উদ্…
বনদপ্তরের উদ্যোগে ৪০৫টি কচ্ছপ উদ্ধার
একসঙ্গে ৪০৫টি কচ্ছপ উদ্ধার হলো । যার বাজারমূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা । পূর্ব মেদিনীপুর বন বিভাগের অন্তর্গত বাজকুল রেঞ্জ বুধবার ভোরে এই বিপুলসংখ্যক কচ্ছপ উদ্ধার করেছে । বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গাড়িটিও । গ্রেফতার পাচারকারি যুবক প্রসেনজিৎ দাস । ধৃত যুবক উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত থানা এলাকার নবপল্লির বাসিন্দা । পলাতক তার সঙ্গী খালাসি ।
ভিন রাজ্যে থেকে এ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে কচ্ছপগুলি আনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে । সেজন্য দক্ষিণ বঙ্গের ১১৬-বি সড়ক পথটিকে নিরাপদ হিসেবে ব্যবহার করেছিল পাচারকারিরা । কিন্তু বন বিভাগের কর্মী আধিকারিকদের দৃষ্টি তাদের এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হলো না । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাজকুল রেঞ্জ অফিসার পূষণ দত্ত দলবল নিয়ে ওৎ পেতে ছিলেন । বাজকুলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ১১৬-বি রাজ্য সড়কের নাজির বাজারে পাচারকারিদের হাতিগাড়িটিকে ধরে ফেলে বনকর্মীরা । বিপদ বুঝে ওই গাড়ির খালাসি কোনক্রমে লাফ দিয়ে চম্পট দেয় । ধরা পড়ে যায় চালক প্রসেনজিৎ দাস । ছোট-বড় মাঝারি বিভিন্ন মাপের ৪০৫ টি "সফট্ সেল টার্টেল" উদ্ধার করা হয় । বন দপ্তরের বাজকুল রেঞ্জ অফিসার পূষণ দত্ত জানিয়েছেন,"কোনভাবেই বন্যপ্রাণ ধরা, বাড়িতে পোষ মানানো,কিংবা বিক্রি করা যাবে না । এটি আইন বিরুদ্ধ কাজ । বেআইনি এই কাজের জন্য শুধু গ্রেফতার নয় । জেল, জরিমানা দুটোই হতে পারে ।" মাস তিনেক আগে এই সড়ক পথের চণ্ডীপুর থানা এলাকার নরঘাটে স্পেকটাকল কোবরা, মনোক্লেড কোবরা এবং রাসেলস ভাইপার তিন ধরনের বিষধর সাপ উদ্ধার করেছিলেন বাজকুল রেঞ্জের বন কর্মীরা । গ্রেফতার করা হয়েছিল ৫ জন পাচারকারিকে । সেই বন কর্মীদের চেষ্টায় চণ্ডীপুর থানা এলাকার গাজীপুর এবং বাড় দামোদরপুর থেকে স্পেকটাকল এবং মনোক্লেড দু'ধরনের ১৭ টি কোবরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে । সেই ঘটনায় স্থানীয় গাজীপুর থেকে জোস্না সিং এবং বাড় দামোদরপুর গ্রাম থেকে সুকুমার বর নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় । তারপর বাজকুলের নাজির বাজারে গাড়ি আটকে ৪০৫ টি সফট্ সেল টার্টেল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । আদালতের নির্দেশে ঘটনায় ধৃত প্রসেনজিৎ দাসের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে । উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলিকে জেলার বিভিন্ন সরকারি জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজ চলছে । এই বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ কোথা থেকেই বা এল । কেনইবা দক্ষিণবঙ্গের ১১৬-বি নম্বর সড়ক পথটিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে । আন্তরাজ্য পাচারের এই ঘটনায় কোন চক্র রয়েছে । সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
No comments