বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যা ভবনের পাক্ প্লাটিনাম জয়ন্তী কি বললেন প্রধান শিক্ষিকা!বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যাভবন ৬৯ তম বর্ষে পদার্পণ। স্কুলের পাক্ প্লাটিনাম জয়ন্তী কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উৎসবে আকার ধারণ করেছে সাংবাদিকদের…
বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যা ভবনের পাক্ প্লাটিনাম জয়ন্তী কি বললেন প্রধান শিক্ষিকা!
বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যাভবন ৬৯ তম বর্ষে পদার্পণ। স্কুলের পাক্ প্লাটিনাম জয়ন্তী কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উৎসবে আকার ধারণ করেছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা রিনা বেরা বলেন এই স্কুল ধীরে ধীরে বড় হয়েছে আজ বহু ছাত্র-ছাত্রী দেশ বিদেশে সরকারি আধা সরকারি বিভিন্নভাবে কর্মরত রয়েছেন ।তাদের সকলকে একত্রিত করে আগামী প্লাটিনাম জুবলিকে কেন্দ্র করে পাক্ পার্টি নাম জয়ন্তী শুভ সূচনা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/qrfnjtusMVE
পাক প্লাটিনাম জুবলি জয়ন্তী কেন্দ্র করে নানান কর্মসূচি রয়েছে জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি। তিনি বলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। দেশ নায়ক নেতাজির জন্মদিন থেকে ২৩ -২৪ এবং ২৫ শে জানুয়ারি।
উৎসব প্রাঙ্গণে থাকবে ছাত্রীদের নিজেদের হাতে তৈরি খাদ্য রসিকদের জন্য ছিল ভিন্ন স্বাদের পিঠে পুলি ছাড়াও ফুচকা ঘুগনি এগ রোল। ফুড ফেস্টিভেল অংশগ্রহণ করবেন স্কুলের ছাত্রীরা। ১৫ টি স্টলে ছাত্রীদের মুখরোচক খাওয়ার থাকবে যেমন, ফুচকা, এগরোল ও ঘুগনি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ১৯০০ ছাত্রী গঠন করেন তারা প্রত্যেকেই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি আরও বলেন। সদ্য মকর সংক্রান্তি শেষ হয়েছে বাঙ্গালীদের চিরন্তন উৎসব আর সে জন্যই পিঠে পুলির উৎসব পাক প্লাটিনাম জয়ন্তীতে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও থাকবে হস্তশিল্প মেলা মেয়েরা নিজেদের হাতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে প্রদর্শিত করবেন। পাক পার্টি নাম জয়ন্তী উৎসবে খাদ্য রসিকদের জন্য থাকছে ভাজা পিঠে ,খোয়া ক্ষীর,গুড়, এলাচ, মালাই, দুধের সর, কাঁচা গোল্লার পুর মিশিয়ে বিশেষ পাটি সাপটা । আমসত্ত্ব মিশিয়ে ম্যাংগো পাটিসাপটা সে আর এক লোভনীয় পিঠে । ছানার ক্ষীর এবং নারকেল মিশিয়ে গোকুল পিঠে, দুধে সেদ্ধ পিঠে তো থাকবেই । তার সঙ্গে পাকা কলা, ক্ষীর, দুধ, এলাচ,পান মৌরি দিয়ে মালপোয়া সত্যিই জিভে জল এনে দিবে। প্রাক্তন বর্তমান সকল ছাত্রীদের এবং শুভানুধ্যায়ী অভিভাবকদের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান করলেন। যিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন স্কুলের ইতিহাস ১৯৫৬ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তবে তিনি অনেক পরেই এসেছেন এই স্কুলে। আমাদের স্কুলের পাশেই বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম যে রয়েছে তারই মহারাজ পূজ্যপাত বিশ্ব নাথানন্দজী মহারাজ তারই দাদাজি ছিলেন ভক্তিচৈতন্য আমাদের দাদা মহারাজ।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন তিনি আমাদের দাদা মহারাজ, তিনি চেয়েছিলেন বহু আগেই মা আনন্দময়ী এসে বলেছিলেন এই জায়গায়, দেখছি অনেকগুলো লাল পাড় শাড়ি পড়ে মেয়েরা ঘুরচ্ছে। এই জায়গাটি ছিল পরিতপ্ত জায়গা এবং শ্মশান ছিল। দাদা মহারাজ চেয়েছিলেন নারী শিক্ষা অগ্রগতি ঘটানোর জন্য। যেমন বিদ্যাসাগর, রামমোহন , স্বামীজি,তারা একসময় নারী শিক্ষা আন্দোলনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। শিক্ষার আলোতে আনা প্রয়োজন মহিলাদের তাই , দাদা মহারাজ এই জায়গাতেই প্রথম ১৯৫৬ সালে মহিলাদের জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
শ্রী গোবিন্দপ্রসাদ মাইতি শ্রী ভূতনাথ মাইতি জীবনকৃষ্ণ দুলাই স্বামী কৃষ্ণ নন্দ মহারাজ স্বামী ভক্তি চৈতন্য মহারাজ গুণধর ভৌমিক সুধীর চরণ দাস কিশোরী মোহনদাস, শ্রী সুধীর চন্দ্র দাস খগেন্দ্রনাথ বেরা, শ্রীমতি পঞ্চমী সামন্ত, শ্রীমতি কল্যাণী চ্যাটার্জী তারা প্রত্যেকেই স্বর্গীত হয়েছেন। সকলের প্রচেষ্টায় এলাকার শুভানুধ্যায়ীদের উদ্যোগেই তাদের সহযোগিতা নিয়েই এই বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন বাজিতপুর সারদাময়ী বালিকা বিদ্যালয়। ১৯৬২ সালে বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যামন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এই বিদ্যালয় পরবর্তীকালে সরকারি বিদ্যালয় হিসেবেই চিহ্নিত হয়। ২০০০ সালে বাজিতপুর সারদাময়ী বালিকা বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিকে রূপান্তরিত হয়। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় বলেছিলেন সমগ্র জাতিকে শিক্ষাঙ্গনে আনতে হবে কারণ শিক্ষা আনে মুক্তি মুক্তি আনে চেতনা, চেতনা আনে আনন্দ, সেই আনন্দের সন্ধানী হয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের কাজকর্ম করে থাকি।
বিদ্যালয়ের -ছাত্রীদের সিলেবাস অনুযায়ী পঠন পাঠান করানো হয়। জীবনে বাঁচার জন্য যে আহরণ সেই বিদ্যালয় থেকে তারা অর্জন করে এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিদ্যালয়ে রয়েছে আইটি ইনফরমেশন টেকনোলজি ( ভোকেশনাল)। আরো বলেন তিনি স্কুলের সমস্ত আই কার্ড স্কুলের ছাত্রীরাই তৈরি করেন। এ ছাড়া সেলাই শিখার জন্য অ্যাপারেল রয়েছে, মন্ত্রী বা অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য যে গাউন দেওয়া হবে অথবা মিড ডে মিলে যারা রান্না করেন তাদেরকে ক্যাপ এবং এফ্রোন স্কুলের ছাত্রী তৈরি করে।
প্রাক্তন ছাত্রীদের জন্য ২০২৫ এর প্লাটিনাম জয়ন্তী শুভ সূচনা মধ্য দিয়ে বহু ছাত্রী দুরুদূরান্তে, দেশ-বিদেশে বর্তমানে কর্মরত । তাদের কথা ভেবেই আগামী ৭০ তম বর্ষ সামনে রেখেই পাক্ প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসবে প্রাক্তনী ছাত্রী সম্মেলনে জোর দেওয়া হয়েছে। আজ সভায় উপস্থিত ছিলেন পাক প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসবের সভানেত্রী রিনা বেরা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি।
No comments