২২ একর জমির উপর নির্মীয়মান ‘জগন্নাথ ধাম’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে ট্রেনে পৌঁছলে দীঘা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ধরে বাইরে আসার সময়ই চোখে পড়বে বিশাল জগন্নাথ মন্দির। প্রায় ২২ একর জমির উপর নির্মীয়মান এই মন্দির এবং তার সমগ্র জায়গাটি এখন থেক…
২২ একর জমির উপর নির্মীয়মান ‘জগন্নাথ ধাম’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে
ট্রেনে পৌঁছলে দীঘা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ধরে বাইরে আসার সময়ই চোখে পড়বে বিশাল জগন্নাথ মন্দির। প্রায় ২২ একর জমির উপর নির্মীয়মান এই মন্দির এবং তার সমগ্র জায়গাটি এখন থেকেই লোকমুখে ‘জগন্নাথ ধাম’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। নির্মীয়মান সেই জগন্নাথ ধাম দেখতে এখন থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন দীঘা ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। প্রভু জগন্নাথদেবের এই আলয়ের কাজের অগ্রগতি দেখতে মঙ্গলবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন শুনে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা আরও বেড়ে গিয়েছে। মন্দিরের সামনে ভিড় জমানো পর্যটকদের একটাই প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কি কাল (বুধবার) উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করবেন?
আজ বুধবার দুপুর দেড়টার সময় মন্দির পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির পরিচালনা সংক্রান্ত একগুচ্ছ ঘোষণা করবেন তিনি। মন্দির পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি তৈরি করবেন বলেও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে একটি দ্বারের নাম হবে চৈতন্য দ্বার। পুরীতে চৈতন্য মহাপ্রভুর কথা সকলেরই জানা। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরও হচ্ছে পুরীর মন্দিরের সমান উচ্চতার। ৬৫ মিটারের। এখানেও চৈতন্য মহাপ্রভুকে উৎসর্গ করে একটি দ্বারের নাম করণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার দীঘায় পৌঁছেই মন্দিরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ মুহূর্তের কাজ যাতে কোনও ভাবে বিলম্ব না হয়, সেদিকেও বাড়তি নজর রাদিতে বলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। ২০১৮ সালে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে মন্দির নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। কোভিড পর্বে সে কাজ গতি হারিয়েছিল। ফের গতি বাড়িয়ে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও দেবী সুভদ্রার এই দেউল। ইতিমধ্যেই আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্দির চত্বর। মন্দিরের সামনের রাস্তাও চওড়া করার কাজ শেষ করেছে পূর্ত দপ্তর। নজরকাড়া এই মন্দিরে থাকছে ভোগ ঘর। জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না এবং তার বিলির দায়িত্ব রাজ্যের তরফে নির্দিষ্ট কোনও ধর্মীয় সংস্থাকে দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বারা অসম্পূর্ণ রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ভোটকে পাখির চোখ করেই এই মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল বলেই সুর ছড়িয়েছিল বিরোধী শিবির। তাঁর একেবারে বিপরীত পথে হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে, তবেই তার উদ্বোধন হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, মন্দিরের কাজ শেষ হতে আরও তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। সেই ক্ষেত্রে পয়লা বৈশাখের সময় মন্দির উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছে প্রশাসনিক মহল। সেই কারণে আজ মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা করেন কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
No comments