বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে রাইটার্স বিল্ডিং এ বিগত এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ছবিসহ আর্ট গ্যালারি হয়েছে, ব্যক্ত হয়েছেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ!
বেসরকারি উদ্যোগে পালিত হল রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ…
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে রাইটার্স বিল্ডিং এ বিগত এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ছবিসহ আর্ট গ্যালারি হয়েছে, ব্যক্ত হয়েছেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ!
বেসরকারি উদ্যোগে পালিত হল রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের জন্মদিন? উনার নিজের তৈরি লোকভারতী কলেজ সরকারি উদাসীনতায় আজ ও ধ্বংসস্তুপ!
রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের ১৩৩ তম জন্মদিনেও বিগত বছরগুলির মত হল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ৩৩ পাউন্ডের কেক কেটে ১৩৩ টি প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে পালিত হল।
আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৌমিতা ঘোড়াই প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্রীকান্ত মাইতি, নারী কল্যাণ শিশু কর্মাধ্যক্ষ ভবানী হাইতি জানা, বন ওভূমি কর্মধক্ষ শম্ভু সাহু, পূর্ত ও জনস্বার্থ কর্মাধ্যক্ষ শামীম আকতার, আজকের সভায় দুই প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সম্বর্ধনা দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শিমুলবাড়িয়া হাই স্কুলের সমর সিনহা ছিলেন দেউলপাতা হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অমীয় মাইতি প্রাক্তন কর্মধক্ষ ও শিক্ষক আলোক রঞ্জন দাস এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক ডঃ সুজন কুমার বালা, ব্রজনাথচক স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা সুপ্রিয়া দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী নূর হোসেন, শিবনাথ সরকার, রিতা ভট্টাচার্য , স্বপ্ন মাইতি, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথ মাইতি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী শাসমল, এছাড়াও জন্ম উৎসব কমিটির সদস্য অরূপ মাইতি, চন্দ্রানী মিদ্যা, পৃথ্বীশ মিশ্র, কবিতা প্রামাণিক, সান্তনা শেঠ , সুপ্তি বেরা, প্রসেনজিৎ ভৌমিক, ভোলানাথ সাহু, অতনুদাস, গৌতম বিশ্বাস, জয়ন্ত শেঠ, নিবেদিতা দাস, প্রশান্ত মন্ডল, স্নিগ্ধা ভূঁইয়া।
সভায় সঞ্চালনা করেন কমিটির কনভেনার দুর্গাপদ মিশ্র তিনি বলেন সরকারি উদাসীনতা ও অনাদায়ে আরও এক বৎসরের দিকে এগিয়ে গেল লোকভারতী কলেজ। দুইবার কংগ্রেস (১৫ আগস্ট ১৯৪৭-১৪ জানুয়ারী ও ১৯৪৮ ও ১৯৭১ র ২ এপ্রিল-১৯৭১ র ২৮ জুন) ও একবার ইন্ডিপেনডেন্ট প্রোগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক এ্যালায়েন্স ফ্রন্টের (১৯৬৭ র ২০ নভেম্বর-১৯৬৮ র ২০ ফেব্রুয়ারি) মিলিয়ে ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ মোট তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/M_ZBGWYPLTo
অথচ, সেই মানুষটির হাতে গড়া হলদিয়ার বাসুদেবপুর গ্রামের লোকভারতী কলেজ বুনিয়াদী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লোকভারতী কলেজ প্রফুল্লবাবুর প্রয়াণের পর থেকে সরকারি উদাসীনতায় একটু একটু করে কধ্বংস স্তুপে পরিণত হচ্ছে। কলেজের বেশির ভাগ জমি দখল করে পাট্টা দিয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিগত সরকার। কলেজের দরজা-জানালা-আলমারি-সহ বিভিন্ন দামি সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে নিশিকুটম্বের দল।
১৯৫৫ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার বাসুদেবপুর গ্রামে বালুহাটা-কুঁকড়াহাটি রাস্তার পাশে ৮৭ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছিলেন লোকভারতী কলেজ নামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথি চিকিৎসা গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন যার উদ্বোধন করেছিলেন ডঃ সত্যেন্দ্রনাথ বসু,রাজ্য শাসনের সাথে সাথে এই প্রতিষ্ঠানের পাঠরত ছেলে- মেয়েদের পড়াতেন ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ।
লোকভারতী কলেজের এক সময়ের শিক্ষক ছিলেন অংশুমান কুইতি তিনি জানিয়েছিলেন, গান্ধিজীর গ্রাম স্বরাজ ও বুনিয়াদী শিক্ষার ভাবনা আগামী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতেই প্রফুল্ল চান্দ্র ঘোষ হলদিয়ায় তাঁর এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। অংশুমানবাবু জানিয়েছিলেন, ১৯৫৬ সালে ৫০ টাকার বেতনে লোকভারতী কলেজে শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হয়েছিলাম। ৮-৯ বছর ধরে সেই কাজ করেছিলাম। জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ পাকাপাকিভাবে কলকাতায় চলে যান। তারপরেও বেশ কয়েকবছর ধরে কলেজটি চলে ছিল। জানিয়েছেন, প্রফুল্লবাবুর প্রয়াণের পরেও তাঁর পালিতা কন্যা সাধনা সোম কয়েক বছর প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জেরে সরাকরি উদাসীনতায় বীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের স্বপ্নের এই বুনিয়াদী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা লোকভারতী কলেজে এক সময়ে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত শক্তিপদ চক্রবর্তী জানা যায়, বুনিয়াদী শিক্ষার পাঠ পড়িয়ে এসেছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ। জানাযায়, কলেজের মধ্যে তিনটি বড় পুস্করিনী, গোচারণ ক্ষেত্র, বাগান, ধান, জমি, জ্ঞান মন্দির, দাতব্য চিকিৎসালয়, পোলট্রী, ফার্ম, সংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র-সহ সবরকমের ব্যবস্থা ছিল। এমনকি চরকায় সুতো কাটা,কাঠের কাজও শেখানো হত। শক্তিপদ চক্রবর্তী কিংবা অংশুমান কুইতিরাই নন এলাকার সকল ব্যাদ্ধ মানুষের দাবি, এইবার অত্যন্ত লোকভারতী কলেজ নিয়ে সরকারি ও প্রশাসনিক উদাসীনতার অবসান ঘটুক। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মানুষটির সাধারণ মানুষের। প্রতি, দেশের প্রতি ভালোবাসা, তাঁরকর্ম পদ্ধতি, ভাবনা তুলে ধরার ব্যবস্থা করুক সরকার।রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের ১৩৩তম জন্মদিন বেসরকারি উদ্যোগে নমো নমো করে পালিত হল হলদিয়ার ব্রজলালচকে মহাত্মা গান্ধী পাদদেশে। প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটি ও হলদিয়া বন্দর পত্রিকার উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, কেক কেটে ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটি 'পালন করা হয়।
ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ স্মারক কমিটি ও হলদিয়া বন্দর পত্রিকার সম্পাদক দুর্গাপদ মিশ্র অনেক গুলো দাবি করলেন। তার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের প্রয়াত প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর হাতে গড়া লোক ভারতী কলেজকে বাঁচিয়ে তুলে শিক্ষার প্রসারে ব্যবহার করুক রাজ্য সরকার, বালুরঘাটা থেকে চৈতন্যপুর অবধি প্রায় ৫ কিমি রাস্তার নামকরণ করা হোক এই মহান মানুষটির নামে, প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি নির্মাণ অথবা ওই জায়গাকে হেরিটেজ ঘোষণা করা। তিনি আরো দাবি করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী থেকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ছবিসহ একটি আর্ট গ্যালারি রাইটার্স বিল্ডিং এ স্থান পেয়েছেন কিন্তু ব্যক্ত রয়েছেন রাজ্যের প্রথম ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট থেকে তিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী যদিও ওই সময় প্রধানমন্ত্রী পদ হিসেবেই ঘোষণা করা হতো ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ তার ছবি ওই আর্ট গ্যালারিতে স্থান পায় তার জন্য তিনি আবেদন করলেন।
No comments